গাজীপুরের টঙ্গীতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। টঙ্গীর ১৯টি বস্তিসহ একাধিক স্পটে বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি হচ্ছে। দু-একজন খুচরা ব্যবসায়ী ধরা পড়লেও হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
জানা যায়, টঙ্গীতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, অনেক মাদক ব্যবসায়ী দলের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য রাতভর নেতাদের বাড়ি বাড়ি যান। টঙ্গীর কয়েকটি মাদকের স্পটের মধ্যে রয়েছে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি মাজার বস্তি, মিলগেট নামা বাজার বস্তি, কাঁঠাল দিয়া বস্তি, এরশাদ নগর বস্তি, মাছিমপুর বস্তি, গাজীপুরা খরতৈল ব্যাংক পাড়া, টঙ্গীবাজার এলাকা, আরিচপু, মিরেশ পাড়া, নদীবন্দর, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাংক মাঠ বস্তি, আমতলি বস্তি, হিমারদীঘি, দত্তপাড়া, শিলমুন, মরকুন, আউচপাড়া, মধুমিতা, গাজীবাড়ি, পাগাড় সোসাইটি মার্কেট, গোপালপুর। এসব এলাকায় চলে মাদকের রমরমা ব্যবসা। অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার হয় আমতলি এলাকার পাশের একটি বিলাসবহুল হোটেল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে ওই হোটেলে শুরু হয় অশ্লীল নাচ-গান আর মাদক কেনাবেচা। সম্প্রতি ব্যাংক মাঠ বস্তির মাদক সমাজ্ঞী ময়না ধরা পড়ার পর জেলহাজত থেকে বেরিয়ে আবার শুরু করেন এ ব্যবসা। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গাজীপুর ডিবি পুলিশ জানায়, সম্প্রতি তারা ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজি মাজার বস্তিতে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে শুধু পুলিশ নয় সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।