সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ

নওগাঁ প্রতিনিধি

মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ

কৃষি ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনাময় এবং বিশেষ করে ধান উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁর মাঠে মাঠে এখন কেবলই সবুজের সমারোহ। অবারিত দৃষ্টিজুড়ে শুধুই বোরো আবাদের খেত। কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। জানা গেছে, নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলায় উপজেলাভিত্তিক বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৮০০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ১৮ হাজার ৬০০ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ১১ হাজার ৭৫০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮ হাজার ৪২০ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ১৯ হজার ৬০০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১৮ হাজার ৩২০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ৮ হাজার ২০০ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৯ হাজার ৮০০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেন, চলতি বছর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি। সেখানে কৃষকরা তাদের ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। আবাদকৃত জমির মধ্যে হাইব্রিড জাতের রয়েছে ১৪ হাজার ২০০ হেক্টর এবং উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৯০ হেক্টর। ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ হাজার ১৯০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। সে হিসেবে চাল উৎপাদনের পরিমাণও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রা প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ৩৭ মেট্রিক টন হিসেবে এ বছর বোরো মৌসুমে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ লাখ ১১ হাজার ৯৪৬ মেট্রিক টন। সেখানে উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭১ দশমিক ৩০ মেট্রিক টন চাল। জেলায় চলতি মৌসুমে হাইব্রিড জাতের মধ্যে হিরা-২, হিরা-৬, এসএল-৮ এইচ, ব্র্যাক হাইব্রিড, তেজ, সিনজেন্টা ১২০৩, চমক, এমএস-১ সহ প্রায় ২৬ জাতের ধান আবাদ হয়েছে। অন্যদিকে উফশী জাতের মধ্যে অন্যতম ব্রিধান-২৮, ব্রিধান-২৯, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৮৯, জিরাশাইল, খাটো-১০, কাটারিভোগ, শম্পা কাটারিসহ প্রায় ২৭ জাতের ধান রোপিত হয়েছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের বিষয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, চলতি মৌসুমে নওগাঁ জেলার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত সার ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর