শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

পানির অভাবে পাট জাগ দিতে ভোগান্তি

প্রতিদিন ডেস্ক

পানির অভাবে পাট জাগ দিতে ভোগান্তি

জাগ দিতে না পারায় শুকিয়ে যাচ্ছে পাট। লালমনিরহাটের ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বর্ষার ভরা মৌসুমেও দিনাজপুরে দেখা নেই পর্যাপ্ত বৃষ্টির। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না চাষিরা। বর্তমানে কাহারোল হাটে পাট বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১৮০০ টাকা। সময়মতো পাট কাটা ও জাগ দিতে না পারায় সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা। কাহারোল উপজেলা কৃষি অধিদফতর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩৭০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ করা হয়েছে। কাহারোলে এবার দেশি ৯৫ বেল ও তোসা জাতের ৪৩২০ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলার বগদইর গ্রামের পাটচাষি সুকুমার রায় জানান, তিনি দুই বিঘা মাটিতে পাট চাষ করেছেন। পানির অভাবে পাট কেটে জাগ দিতে পারছেন না। অপর কৃষক বাহারু বলেন, তিনি এক বিঘা মাটি পাট চাষ করেছেন এবং খালের মধ্যে পাট জাগ দিয়েছেন। কৃষক মহেন বলেন, বৃষ্টি না থাকার কারণে পাট কেটে জাগ দেওয়া নিয়ে চিন্তায় আছি। কাহারোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মল্লিকা রানি সেহানবীশ বলেন, আকাশে পানি না থাকার কারণে এবার ডোবা এলাকায় কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। পতিত যেসব ডোবা রয়েছে সেখানে পাট জাগ দেওয়ার পরমার্শ দেওয়া হচ্ছে পাট চাষিদের।

এদিকে লালমনিরহাটে ফলন ভালো হলেও পানির অভাবে অনেকে খেতেই ফেলে রেখেছেন পাট। এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় ডোবা-নালায় পানি নেই। পাট জাগ দিতে পারছেন না অনেক কৃষক। মাঠে ফেলে রাখা পাটের আঁশ শুকিয়ে যাচ্ছে। জেলা কৃষি অফিস বলছে, পাট পচানোর পানির অভাবে চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। চাষিদের রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট আঁশ ছাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ১০ লিটার পানিতে ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয় এই পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে পাট পচালে আঁশের মান ভালো থাকে। জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লালমনিরহাটে ২ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাট চাষ করেছেন কৃষকরা। বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি না হওয়ায় হতাশ পাটচাষিরা। সাধারণত আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে খাল, বিল, নদী-নালা পানিতে ভরপুর থাকে। এবার খরার কবলে অধিকাংশ খাল-বিল শুকনো। পাট পচাতে পারছেন না কৃষক। আবদুল খালেক নামে এক চাষি বলেন, খরার কারণে এবার রোদে লাল হয়ে খেতেই মরে যাচ্ছে পাটগাছ। কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘায় পাট চাষে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘায় ৯-১০ মণ পাট পাওয়া যায়। এ ছাড়া পাটখড়ি বিক্রি ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।

সর্বশেষ খবর