বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

দখল হচ্ছে চিনিকলের জমি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দখল হচ্ছে চিনিকলের জমি

প্রায় তিন বছর বন্ধ রয়েছে সেতাবগঞ্জ চিনিকল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লোকসানের বোঝা নিয়ে বন্ধ হওয়া দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ চিনিকলের কোটি কোটি টাকার জমি ও সম্পদ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই জমি উদ্ধারে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান চিনিকল কর্তৃপক্ষ।

দিনাজপুরের ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনিকলটি ৩৮ বছর চালু থাকার পর প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লোকসান নিয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বন্ধ হয়ে যায়। বোচাগঞ্জের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত সময়ে চিনিকলের আখ মাড়াই চালুর জোর দাবি জানান। আখ মাড়াই বন্ধ হওয়ায় এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব- এমনটাই বললেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জানা যায়, ১৯৩৩ সালে মোট ৩৮ হাজার ৬০ একর জমি নিয়ে নির্মাণ করা হয় সেতাবগঞ্জ চিনিকল। নিজস্ব জমি ও সাধারণ কৃষকের চাষ করা আখ দিয়ে তখন বছরে ৩-৪ মাস মাড়াই করত চিনিকলটি। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে দেশের ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর একটি সেতাবগঞ্জ চিনিকল। চিনিকলের ১ হাজার ৩১২ একর আবাদি জমির মধ্যে কান্তা ফার্মের ৩১৭ একর, সাদীপুরে ২৭৮ একর এবং শাইনগরে ৩১৫ একর রয়েছে। বাকি জমি বিভিন্নজন দখল করে বাড়িঘর, দোকান নির্মাণ করেছেন। কর্তৃপক্ষ জমি উদ্ধারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সেতাবগঞ্জ চিনিকল আখচাষি সমিতির সভাপতি ফয়জুল আলম চৌধুরী বাংলাদেশ শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর জমি উদ্ধারে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীরা প্রতিনিয়ত জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলছে। ফয়জুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চিনিকলের প্রায় ৭৫০ জন শ্রমিকের মধ্যে বর্তমানে নিয়োজিত আছেন ১০০ জনেরও কম। কলের আখ মাড়াই বন্ধ হওয়ায় মূল্যবান যন্ত্রাংশ ও আখ আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর-ট্রলি খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। ৪০০ একর জমি বেদখল হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর জমি দখলের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। চিনিকলের কান্তা ফার্ম, সাদিপুর ও সাইনগর এলাকার কিছু জমি বেদখল হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছে জমি উদ্ধারের জন্য চিঠি দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর