শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রকল্পের কোটি টাকা লোপাট

দুমকী ত্রাণ ও দুর্যোগ বিভাগ

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

দুমকীতে ত্রাণ ও দুর্যোগ বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের বিলের প্রায় কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরাদিয়া গ্রামের শাহজাহান খান ১০ জুলাই এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পিআইও রাজিব বিশ্বাসের অনুগত অফিস সহায়ক জুয়েল হাসানকে দিয়ে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বিলের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ঘটনা জানাজানি হলে সুকৌশলে অফিস সহায়ক জুয়েলকে পলাতক দেখানো হচ্ছে। এ ছাড়া দুমকী উপজেলায় নতুন পিআইও হিসেবে দেলোয়ার হোসেন পদায়ন হলেও তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। মুরাদিয়া ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান মনোয়ার বলেন, আমার এখানে সিপিসির তিনটি প্রকল্পের মধ্যে দুটির কাজ স¤পন্ন হয়েছে। পিআইও রাজিব বিশ্বাসের নির্দেশে জুয়েল আমার কাছ থেকে একটি ভুয়া বিলসহ তিনটি বিলে সই করিয়ে নেন। তখন আমাদের অ্যাকাউন্ট নম্বর নিলেও সেখানে কোনো টাকা বা চেক দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে দুটি কাজের ৯০ হাজার টাকা বিভিন্ন মাধ্যমে আমার কাছে পাঠানো হয়। এখনো ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওনা আছে। এ ছাড়া ভুয়া বিলে ৯০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন তারা। একই অভিযোগ করেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জহিরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য নাসিমা বেগম ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজুর রহমান ফোরকান। মুয়াদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, পিআইও রাজিব এবং জুয়েল সিপিসি প্রকল্পের টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। আমরা আদালতে মামলা করব। জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাসের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান বলেন, আমি বিল অনুমোদন দিয়েছি এর বাইরে কিছু জানি না। জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বলেন, আমি সদ্য পটুয়াখালীতে যোগদান করেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ বলেন, মহাপরিচালককে ফোনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।

সর্বশেষ খবর