শিরোনাম
শনিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেনাপোলে আটকা ২ শতাধিক পণ্য চালান

বেনাপোল প্রতিনিধি

১২ দিন বেনাপোলে বন্ধ রয়েছে কাস্টমস পরীক্ষণ (আইআরএম) কর্তৃক আমদানি পণ্যের পরীক্ষণ রিপোর্ট। এতে ২ শতাধিক পণ্যের চালান আটকে আছে। কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে পণ্য বেনাপোল বন্দরে ঢোকার আগে ওজন স্কেলে ট্রাকসহ গড় ওজন নিশ্চিত করা হয়। পণ্য বিভিন্ন শেড বা গুদামে খালাশের পর পুনরায় খালি ট্রাক ওজন করে পণ্যের নিট ওজন নিশ্চিত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ কাস্টমসকে সরবরাহ করে থাকে। গত কয়েক মাসে কয়েকটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ভুয়া ওজন স্লিপ সংযুক্ত করে পণ্য খালাস করে নিয়েছে এমন অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট ১১টি পণ্য চালানের ওজন নিশ্চিত হওয়ার জন্য বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহম্মেদ বন্দর পরিচালক বরাবর চিঠি দেন।

 বন্দর কর্তৃপক্ষ স্লিপ কারসাজির সত্যতা যাচাই না করে কাস্টমস কমিশনার বরাবর পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে ওজন কার্যক্রম সম্পাদন করা হয় বলে জবাব দেন। ওজন স্লিপে কারচুপির বিষয়টির সমাধান না করে কাস্টমস ও বন্দরের মধ্যে চিঠি চালাচালির কারণে আমদানি পণ্যের চালান বন্দরে আটকে আছে ১২ দিন ধরে। ফলে আমদানিকারকদের বন্দরের ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেন বলেন, ওজন স্লিপ নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধানের জন্য আমরা দ্বিতীয় দফায় বন্দর কর্তৃপক্ষকে আরেকটি চিঠি দিয়েছি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আবদুল জলিল বলেন, ওজন কার্যক্রম সম্পাদনের পর স্লিপে কাস্টমস প্রতিনিধি স্বাক্ষর করেন না। ওয়েব্রিজ স্কেলে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে ট্রাকের ওজন স্লিপে স্বাক্ষর করলে যাচাই করা হয়ে যায়। কাস্টমস এ কাজটি না করে সব দায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। এরপরও আমরা কাস্টমসের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ খবর