শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকা অর্থনৈতিক অঞ্চল

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকা অর্থনৈতিক অঞ্চল

জমি অধিগ্রহণ হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কার্যক্রম। ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমঝোতা স্মারক সইয়ের মধ্য দিয়ে ভেড়ামারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ জন্য ভেড়ামারা উপজেলার চরমোকারিমপুর, আরাজিসারা ও চর প্রাগপর মৌজায় অধিগ্রহণ করা হয় প্রায় ৫০৬ একর জমি। এরপর কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও কাজের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন কুষ্টিয়ায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে এখানকার অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। কর্মস্থান হবে অনেকের। পাশাপাশি বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাগ্য বদলের নিয়ামক হয়ে উঠবে বলেও মনে করেন তারা। সূত্র জানায়, রেলওয়ে এবং সরকারের অব্যবহৃত জমি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় ভেড়ামারার চরমোকারিমপুর, আরাজিসারা এবং চর প্রাগপুরে মৌজাকে বেছে নেওয়া হয় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য। ২০১৭ সালে ১০ জুন জেলা প্রশাসন ৩১২ একর খাস জমির দলিল প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর এ প্রকল্পের দৃশ্যমান আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে দফায় দফায় স্থান পরিদর্শনের মধ্যেই। সবশেষ ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) কর্মকর্তারা মোকারিমপুর ইউনিয়নের গোলাপনগর বন্দোবস্তকৃত জমি পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, গ্যাস সহজলভ্যতার জন্য দেশের ২২টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে উপযোগী স্থান হিসেবে ভেড়ামারা উপজেলাকে বিবেচনা করে ভারত সরকার এবং সে দেশের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কুষ্টিয়া-২ আসনের এমপি সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন- আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ভেড়ামারায় অর্থনৈতিক জোন স্থাপন করা। সে লক্ষ্যে জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর আর কোনো কার্যক্রম নজরে আসছে না। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চালিকা শক্তিকে আরও গতিশীল করতে শিগগিরই সরকার ভেড়ামারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে নজর দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেকসোনা খাতুন বলেন, ভেড়ামারায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বন্দোবস্তকৃত জমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করে গেছেন অনেক আগে। সেখানে বসবাসরতদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে অনেক আগেই প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করে বেজার নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি আর কোনো অগ্রগতির খবর জানা নেই।

সর্বশেষ খবর