শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বান্দরবানে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি বন্যায়

বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাত

বান্দরবান প্রতিনিধি

সাম্প্রতিক বন্যায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষিখাত। প্রাথমিক হিসাবে শাকসবজি, আমন বীজতলা, রোপা আমন ও রোপা আউশসহ প্রায় ১৯৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর পরেই রয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) সড়ক অবকাঠামোর ক্ষতি। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৪৯৮ কোটি ৬৩ লাখ ১৯ হাজার ৪০৬ টাকার সম্পদহানীর তথ্য পাওয়া গেছে। এখনো তথ্য আসছে। সব এলাকার তথ্য পাওয়া গেলে এ ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ শাহনেওয়াজ বলেন, এবারের বন্যায় কৃষিখাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে তিন-চার বছরের বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে কৃষিবিভাগ। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম জানান, বন্যায় সম্পূর্ণ এবং আংশিক মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার সড়ক। এগুলো মেরামত করতে দেড়শ কোটি টাকার মতো ব্যয় করতে হবে। ৪ আগস্ট থেকে টানা ভারী বর্ষণের কারণে বান্দরবান পৌর এলাকা, সদর উপজেলার কিছু অংশ এবং লামা পৌরসভা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় শঙ্খ ও মাতামুহুরী নদীতে বিপৎসীমা থেকে ৫ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় বড় ধরনের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ পানি নেমে যেতে ১০ আগস্ট বিকাল পর্যন্ত সময় নেয়। এর ফলে জমিতে ফলনরত করলা, কাকরোল, ঝিঙ্গে, বরবটি, শসাসহ সবজি খেত সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমন বীজতলা এবং জমিতে আগাম রোপণ করা রোপা আমন ও রোপা আউশ ধান। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় সড়ক অবকাঠামোরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভাঙনের কারণে এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে রুমা এবং থানচি উপজেলা। এ দুটি উপজেলায় নৌকাযোগে চলাচল করছে এলাকাবাসী।

সর্বশেষ খবর