রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন

প্রতিদিন ডেস্ক

কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন

কুড়িগ্রামে ধরলায় বিলীন হচ্ছে বসতভিটা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উত্তরের জেলা নওগাঁ ও কুড়িগ্রামে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। কুড়িগ্রামে ভাঙন আতঙ্কে অনেকে সরিয়ে নিচ্ছেন বসতবাড়ি। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কুড়িগ্রাম : জেলার সব নদনদীর পানি কমছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমার সঙ্গে কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে  নদীভাঙন। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সব নদনদীর পানি কমে এখন বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার নদী তীরবর্তী মানুষ পড়েছেন ভাঙন আতঙ্কে। রাজারহাট উপজেলার  ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়ন  ও  উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে ১০টি বসতভিটাসহ শতাধিক বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন গুরুত্¡পূর্ণ স্থাপনা। কয়েক দিনে সদর উপজেলা ও উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের খুদিরকুটি ব্যাপারিপাড়া ও মোগলবাসা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর সিতাইঝাড় গ্রামের শত শত বিঘা জমি ধরলার গর্ভে বিলীন হয়েছে। কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙন রোধে আমরা জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিয়েছি। স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। নওগাঁ : আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। আত্রাইয়ের বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় নতুন করে আরও ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা জমির রোপা আমন। খুঁটি হেলে পড়ায় অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আত্রাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিয়াউদ্দীন আহমেদ জানান, বুধবার রাতে এবং  বৃহস্পতিবার সকালে আত্রাই নদীর বাম তীরের (উত্তর) কাশিয়াবাড়ির বলরামচক এলাকায় সমসপাড়া সড়কের প্রায় ২০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। মুনিয়ারী ইউনিয়নের কচুয়া, পালশ, চৌথন, উলাবাড়ি, ধরমপুর, কয়রা, সুলিয়া, মারিয়া, দমদত্তবাড়িয়াসহ অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা দুর্গত এলাকায় রয়েছি এবং ভেঙে যাওয়া বাঁধ আটকানোর চেষ্টা করছি।’ এদিকে রাণীনগরের নান্দাইবাড়ী ও কৃষ্ণপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে ছোট যমুনা নদীর পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মান্দা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম। এ ছাড়া প্রসাদপুর ইউনিয়নের বাইবুল্যা ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ী এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়েছে অনেক পরিবার।

সর্বশেষ খবর