শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আবর্জনায় ভরাট খাল, চাষাবাদ ব্যাহত

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

আবর্জনায় ভরাট খাল, চাষাবাদ ব্যাহত

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মাইথারকান্দি খাল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

‘মাইথারকান্দি’ একটি খালের নাম। কালা ডুমুর নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে মিশেছে খিরাই নদীতে। এর উৎপত্তিস্থল কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারের সুবল আফতার উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে। এখানে খালে ফেলা হচ্ছে বাজারের আবর্জনা। প্রথম দেখায় যে কেউ এটি ভাগাড় বলে মনে করবেন। খালটি আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার তিন ইউনিয়নের প্রায় ৫ হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ। খালটির উৎসমুখ পরিচ্ছন্ন ও ভরাট হওয়া অংশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে খননের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।

সরেজমিন দেখা যায়, আবর্জনায় খালটি এমনভাবে ভরাট হয়েছে, খাল না ভাগাড় দেখে বোঝার উপায় নেই। কয়েকজন আবর্জনা ফেলছেন। কাক ময়লা নিয়ে টানাটানি করছে। পাশে সড়কে শিক্ষার্থীরা নাকে হাত দিয়ে চলাচল করছে। কৃষি ও পরিবেশ সংগঠক মতিন সৈকত বলেন, মাইথারকান্দি খাল কালা ডুমুর নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে গৌরীপুর বাজার এবং সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে পলুদ্দির পাড়, পেন্নাই, হরিপুর, আমিরাবাদ, ইছাপুর, তিনচিটা, বারিকান্দি, রাঙা সিংগুলিয়া, সুন্দলপুর, জুরানপুর, গোয়ালমারি, মোল্লাকান্দি হয়ে খিরাই নদীতে মিশেছে। এটি বড় খাল নামেও পরিচিত। আনুমানিক ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ মাইথারকান্দি খাল তিনটি ইউনিয়ন অতিক্রম করেছে। খালটি ভড়াট হওয়ায় তিন ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের কৃষক শুকনো মৌসুমে সেচের পানি পাচ্ছেন না। আর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণেও ব্যাহত হয় চাষাবাদ। খালটির বিভিন্ন জায়গায় যে যার মতো করে দখল করছে। বাড়ছে দূষণ। আমিরাবাদের বাসিন্দা হানিফ খান বলেন, এই খালের পানি এক সময়ে টলটলে ছিল। খাল দিয়ে নৌকা চলতো। জেলেরা মাছ ধরতেন। কৃষক এর পানি ব্যবহার করতেন জমিতে। এটি এখন মরা খাল। ১০ বছর ধরে খালটির দূরবস্থা চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মইনুল হাসান বলেন, খালটি কয়েকবার পরিষ্কার করা হয়েছে। আবারও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য আমরা অন্য জায়গা খুঁজছি।

সর্বশেষ খবর