শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাস্তায় লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

ফসল নিয়ে পরিবহন সমস্যায় পড়েন কৃষক

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

রাস্তায় লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া

কাদাপানিতে একাকার সড়ক। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ছবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পরও জেলার নবাবগঞ্জের বেশ কিছু এলাকার রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখনো সেখানে কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। অল্প বৃষ্টিতে কাদা-মাটি-পানি একাকার হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন সবাই। এর মধ্যে উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের পারহরিনা গ্রামে ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা বর্ষা মৌসুমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ওই রাস্তার উন্নয়নে টেন্ডার হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও কমেনি। স্থানীয় ভুক্তভোগী ইয়ামিন সরকার, রোকনুজ্জামানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জানায়, বর্ষার সময় হেঁটে চলা কষ্টকর। ফসল নিয়ে পরিবহন সমস্যায় পড়ে কৃষক। ভাদুরিয়া-বাজিতপুর হাইওয়ে রোড হতে শিমর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকা। আর শিমর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পারহরিনা গ্রামের ভিতর দিয়ে শিবরামপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। এর মধ্যে পারহরিনা গ্রামের মাঝে দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার আরও বেহাল দশা। বর্ষা মৌসুমে ডুবে যায়, এই রাস্তা দেখার কেউ থাকে না। সাধারণভাবে হেঁটে চলাচল তো দূরের কথা কেউ ওই সময়ে এই গ্রামে আসতেও চায় না। নবাবগঞ্জের ভাদুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহসানুল কবির শামীম জানান, বর্ষা মৌসুমে ওই রাস্তায় চলাচলে কষ্ট হয়ে পড়ে। এলজিইডি জানিয়েছে ওই রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডারের কথা জানা গেলেও কাজ শুরু হয়নি। নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সুমন কুমার দেবনাথ টেন্ডারের বিষয় স্বীকার করে জানান, বর্ষার কারণে হয়তো কাজ হয়নি। পারহরিনা রাস্তার ১ কিলোমিটারের টেন্ডার হয়েছে। কাজটি দ্রুত করার জন্য ইতোমধ্যে ওই ঠিকাদারকে ডাকা হয়েছে। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর