শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঘরে ঘরে সর্দি জ্বর কাশি

বেশি আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা, সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

কার্তিকের শুরুতেই তাপমাত্রা কমেছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। দিনে হালকা গরম এবং সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হয়। রাতের শেষ ভাগ ও সকালে কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে গ্রামের পথঘাট। রাত ও দিনের তাপমাত্রা দুই রকম হওয়ায় আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতেও কষ্ট হচ্ছে অনেকের। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগ জ্বর, সর্দি ও কাশি। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। কোনো কোনো পরিবারের প্রায় সব সদস্য জ্বর-সর্দিতে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পুরোপুরি শীত শুরু হবে এবং ডিসেম্বরে তা তীব্র হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহ-আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান। শীতের আগমনের এ সময় ছেলে-বুড়োসহ সবাইকে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তররা। শিশু ও বয়স্কদের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতার পাশাপাশি কিছু বিষয়ে আগে থেকেই সচেতনও থাকতে হবে। রাস্তার ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। শিশুদের ব্যাপারে বাবা-মাকে বাড়তি পরিচর্যার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, গত সপ্তাহে দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। রাত যত গভীর হয় বাড়তে থাকে শীত। মাঝ রাতের পর থেকে পড়ে শিশির। কালিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান জানান, দিনের বেলায় বোঝাই যায় না শীত শুরু হয়েছে। সকালে হাঁটতে বেরোলে শীত অনুভূত হয়। ভোরে ফুলহাতা শাট না পরলে ঠান্ডা লাগে। আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা এলাকার হাসানুল হক বান্না জানান, সন্ধ্যার পরপরই শীত শীত লাগে। রাত যত বাড়ে ততই শীত বাড়ে। সকালের কুয়াশায় এখনই দূরের পথ দেখা যায় না। দিনে বিশেষ করে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২-৩টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা থাকে। এরপরই কমতে থাকে তাপমাত্রা। একই এলাকার রমজান আলী জানান, ভোরে মাছ ধরতে বের হই। নদীর পানি এখনই খুব ঠান্ডা লাগে। শীত শুরু হয়েছে, বোঝা যায়। আদিতমারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আজমল হক জানান, দিনে গরম ও রাতে শীতের ফলে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও চোখে ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া স্থির হলে এসব রোগ কমে যাবে। তার পরও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর