সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাঁচা রাস্তায় ভোগান্তির শেষ নেই

শুষ্ক মৌসুমে ধুলায় একাকার বর্ষায় হাঁটু কাদা

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

কাঁচা রাস্তায় ভোগান্তির শেষ নেই

কিশোরগঞ্জ সদর ও করিমগঞ্জ উপজেলা সীমান্তের কদমতলী-চারুয়াকান্দি সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কদমতলী পাকা রাস্তা থেকে দক্ষিণ দিকে বড় হাওর অভিমুখে চলে গেছে একটিমাত্র রাস্তা। রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশ পাকা করা হলেও প্রায় ৭০০ মিটার কাঁচা। বোরো ধান কাটার সময় কৃষকরা এ রাস্তা দিয়ে ফসল ঘরে তোলেন। সামান্য কাঁচা রাস্তার কারণে বছরের পর বছর ধরে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কয়েক গ্রামের মানুষ। অন্যদিকে কদমতলী পাকা রাস্তা থেকে দক্ষিণ নানশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে একটি রাস্তা গেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চারুয়াকান্দি পর্যন্ত। প্রায় দুই কিলোমিটারের রাস্তাটি সম্পূর্ণ কাঁচা। সদরের সঙ্গে করিমগঞ্জের জয়কা ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের সহজ যোগাযোগের রাস্তা এটি। রাস্তার অনেক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যা বছরের বেশির ভাগ সময় কর্দমাক্ত থাকে। ফলে দুই উপজেলার বেশির ভাগ গ্রামের মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। জয়কা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত জানান, বড় হাওরকেন্দ্রিক রাস্তাটির প্রায় ৭০০ মিটার কাঁচা হওয়ায় বোরো ধান কাটার মৌসুমে কৃষককে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। হাঁটু পরিমাণ কাদা মাড়িয়ে ধান তুলতে হয় ঘরে। এ ছাড়া জয়কা ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের কিশোরগঞ্জ সদরে সহজ যোগাযোগের রাস্তাটি সম্পূর্ণ কাঁচা। ফলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে এখানকার মানুষকে সদরে যেতে হয়। জয়কা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, বড় হাওরের প্রায় ৭০০ মিটার এবং সদরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুটি রাস্তা পাকা করার জন্য তিনি নিজেও চেষ্টা তদবির করছেন। রাস্তা দুটি পাকা হলে কয়েক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। এখানকার অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু জানান, এখানকার বেশির ভাগ রাস্তাই পাকা করা হয়েছে। গ্রামীণ কিছু রাস্তার কাজ বাকি। মানুষের ভোগান্তি লাঘবে সংশ্লিষ্ট রাস্তার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর