ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় এক রাতে তিন মন্দিরের ১০টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোনাই মালো নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনাই মালো এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান গতকাল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। সোনাই মালো আলফাডাঙ্গা পৌর সদরের মৃত নিতাই মালোর ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, বিজয় দিবসের রাতে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত কুশুমদী মহল্লার কেন্দ্রীয় হরি মন্দির, শ্রী বিষ্ণু পাগলের মন্দির এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আলফাডাঙ্গা মহল্লার শ্রী শ্রী দামুদর আখড়া মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। হরি মন্দিরের দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, মনসা ও মহাদেব প্রতিমা এবং বিষ্ণু পাগলের মন্দিরের মহাদেব ও মনসা প্রতিমা ও দামুদর আখড়া মন্দিরের মহাদেব, শিবলিঙ্গ ও নারায়ণের প্রতিমাসহ ১০টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। এ ব্যাপারে পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর আলফাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করা হয়। পরে বিষ্ণু পাগলের মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সোনাই মালো ওই রাতে ২টা ১৫ মিনিটের দিকে মন্দিরে প্রবেশ এবং রাত ২টা ৩৬ মিনিটের দিকে বের হয়ে আসেন। স্থানীয়দের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম পরিচয় বেরিয়ে আসে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে সোনাই মালোকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেফতারের পর সনাতন ওরফে সোনাই মালো এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, সাপ তাকে দুই বছর ধরে স্বপ্নে তাড়া করছে। তাই তিনি বিভিন্ন পূজামন্ডপে যেসব মূর্তি ও প্রতিমার সঙ্গে শিব বা মহাদেবের মূর্তি আছে সেগুলোর মুখমন্ডল হাত দিয়ে ভেঙে ফেলেন। কারণ শিব বা মহাদেবের গলায় সাপ জড়ানো থাকে। পাশাপাশি মূর্তির সঙ্গে মাটির তৈরি যে সাপ থাকে তাও ভেঙে ফেলেন। জিজ্ঞাসাবাদে সোনাই মালো আরও জানান, বিষ্ণু পাগলের মন্দিরে থাকা দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মীর যে প্রতিমা আছে সেগুলো আসল না এবং তারাও সাপের রূপ ধারণ করে তাকে ভয় দেখায়। এ কারণে ওই মূর্তিগুলোর মুখ তিনি ভেঙে দেন।