নাটোরের নলডাঙ্গায় অনিক হোসেন নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় রানা নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একই মামলায় আরও দুজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ফরহাদ হোসেন নামে একজনকে ১০ বছর ও টিপু সুলতান নামে আরেকজনকে তিন বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রানা নলডাঙ্গা উপজেলার গাংগইল ধোপাপাড়া এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে। ফরহাদ পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের কালাম হোসেনের ছেলে ও টিপু সুলতান ধনকোড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। স্পেশাল কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান ও মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর উপজেলার ব্রহ্মপুর এলাকার স্কুলছাত্র অনিক নিখোঁজ হয়। পরের দিন অনিকের কাছে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে তার মায়ের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহণকারীরা। এ তথ্য পুলিশকে জানানো হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে নলডাঙ্গা থানায় রানা, ফরহাদ হোসেন ও টিপু সুলতানের নাম উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি করেন অনিকের দাদা জফির উদ্দিন। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টিপু সুলতানকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে অপর দুজন রানা ও ফরহাদ হোসেনকে আটক করা হয়। পরে জবানবন্দিতে তারা অনিককে শ্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। দীর্ঘ ১২ বছর মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে রানাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ফরহাদ হোসেনকে ১০ বছর ও টিপু সুলতান নামে আরেকজনকে তিন বছর আটকাদেশ দেন আদালতের বিচারক। রায়ে আরও উল্লেখ করা হয় জরিমানার অর্থ অনিকের পরিবার পাবে।
