সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

দৌলতদিয়ায় আটকা ২০ জাহাজ

পদ্মায় নাব্য সংকট

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

দৌলতদিয়ায় আটকা ২০ জাহাজ

পদ্মায় নাব্য সংকটের কারণে ২০টি জাহাজ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকা পড়েছে। এ সব কোস্টার জাহাজ পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী যাওয়ার উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে এসেছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় পদ্মা ও যমুনার বুকে ছোটবড় অসংখ্য চর জেগেছে। চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচরের পাশাপাশি সৃষ্টি হয় নাব্য সংকট। নদীতে গভীরতা না থাকায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে আসা পণ্যবোঝাই জাহাজগুলো সরাসরি নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ি বন্দরে যেতে না পেরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চার-পাঁচ দিন ধরে আটকে রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত দৌলতদিয়া প্রান্তে ২০টি জাহাজ ছিল। এসব জাহাজে কয়লা, ক্লিংকার ও সার রয়েছে। সরেজমিন দৌলতদিয়া নদী বন্দরের ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, নূর-এ মদিনা নৌপরিবহন, এম.ভি পোটন-৩, এম.ভি. রাইয়ান আলম পাটোয়ারি-১, দেশবন্ধু-৪, এম.ভি গাউসুল আযমসহ ২০টি জাহাজ আটকে রয়েছে। এসব জাহাজ থেকে শ্রমিকরা কয়লা, ক্লিংকার (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) ও সার নামিয়ে বাল্কহেডে লোড করছেন। জাহাজ চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ থেকে ১৩ ড্রাফটের মালবোঝাই কোনো জাহাজ দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে যেতে পারছে না। পদ্মায় এসব নৌযান চলাচল করার জন্য যে গভীরতা দরকার তা নেই। তাছাড়া নদীতে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। যে কারণ জাহাজগুলো দৌলতদিয়া প্রান্তে নৌঙর করে রাখতে হচ্ছে। জাহাজের মাস্টার মোস্তফা মহিউদ্দীন বলেন, পণ্যবোঝাই জাহাজের ড্রাফট কমাতে পণ্য নামিয়ে বাল্কহেডে লোড করা হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। দৌলতদিয়া শ্রমিক সংকট রয়েছে। রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পদ্মা নদীতে চর পড়েছে। ড্রেজিং করে নৌপথগুলো সচল রাখার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর