শিরোনাম
সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তা

দিনাজপুরের ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশায় দিনাজপুরের বোরো ধানের বীজতলায় বিরূপ প্রভাব পড়ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষক। কৃষি বিভাগের দাবি, এ সময়ে বাড়তি যত্ন ও নিয়মিত বালাইনাশক স্প্রে করলে সমস্যা হবে না।  রফিকুল, গৌতম রায়সহ কয়েক কৃষক জানান, কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীতের কারণে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছে বোরো ধানের চারা। এরই মধ্যে অনেকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকের বীজতলায় চারার গোড়া এবং পাতা পচে হলুদ রং ধারণ করেছে। স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকেও ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। কীটনাশক ছিটিয়েও মিলছে না সুফল। এ ছাড়া শীতে আলু খেতে মড়ক ধরেছে। মরে যাচ্ছে টমেটোর গাছ। প্রচ- ঠান্ডায় ফসলের পরিচর্যা করতেও কষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এবার কৃষিতে ক্ষতির সম্মুখীন হব। চিরিরবন্দরের নশরতপুর গ্রামের কৃষক জসিম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের চারা হলুদ হয়ে যাচ্ছে। রাতে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছি। তারপরও কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। বিরল উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী জানান, টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ছে। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলা হলুদ হয়েছে। বীজতলা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঠিকভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি বোরোর বীজতলার খুব বেশি ক্ষতি হবে না। কৃষকরা দ্রুত চারা রোপণ করলে আর সমস্যা থাকবে না। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলায় এবার ১ লাখ ৭৪ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য বীজতলা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৫৭৯ হেক্টর।

সর্বশেষ খবর