শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বাণিজ্য চালু হয়নি চার মাসেও

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

বাণিজ্য চালু হয়নি চার মাসেও

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ দিয়ে চার মাসেও চালু হয়নি দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি। স্টেশনের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবন এবং প্ল্যাটফরমের নির্মাণ শেষ হয়নি। এ ছাড়া বাংলাদেশ অংশে রেলপথ নির্মাণ শেষ হলেও ভারতের নিশ্চিন্তপুর থেকে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেলপথ তৈরির কাজ শেষ হয়নি। এ কারণেই এ পথ দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু করা যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্তদেশীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হয় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণকাজ। নানা সংকটে দেড় বছরের জায়গায় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সময় লাগে পাঁচ বছরেরও বেশি। ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ রেলপথ গেছে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুরে। বাংলাদেশ অংশের ৬.৭৮ কিলোমিটারে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। কয়েক দফা ট্রায়াল শেষে গত বছরের এক নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রেলপথ উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। তবে তার আগে ৩১ অক্টোবর আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমতি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এরপর ভারত থেকে পাথর, গম ও গমের ভুসিসহ বিভিন্ন পণ্য রেলপথে আমদানির প্রস্তুতি নেন ব্যবসায়ীরা। তবে নিশ্চিন্তপুর থেকে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রেলপথ তৈরির কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা খুব আশাবাদী এই রেলপথ নিয়ে। আরেকজন জানান, আমাদের কাছে তো বড় বড় পার্টি এসেছিল। কিন্তু রেলপথের কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা মালামাল এনে দিতে পারব তা নিশ্চিত করতে পারিনি। জুন-জুলাইয়ের পর সরকার ট্যাক্স আরোপ করার পর থেকে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট করা যাবে, মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে গঙ্গাসাগর স্টেশনের কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবনের কাজও শেষ হয়নি। এ ছাড়া বিল পরিশোধ নিয়ে জটিলতায় গত বছরের ৩০ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। এতে বিলম্ব হয় প্ল্যাটফরম নির্মাণ কাজও। টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রকৌশলী মো. রিপন শেখ বলেন, রেল চলাচলের জন্য রেলওয়ে ট্র্যাক প্রস্তুত। আমরা ট্রায়াল সম্পন্ন করেছি। শুধু প্ল্যাটফরমের কাজ বাকি আছে। এপ্রোচ রোডের কাজ বাকি আছে। এটা এক দেড় মাসের মধ্যে কমপ্লিট করে ফেলব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম তালুকদার বলেন, ট্রেন চলাচল উভয় দেশের সম্মতিক্রমে শুরু হবে।

জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন, অবকাঠামোগত অবশিষ্ট কাজ শেষ করে দুই মাসের মধ্যে বাণিজ্য শুরু করা যাবে। প্রথমে পণ্য পরিবহন হলেও পর্যায়ক্রমে আখাউড়া-আগরতলা রুটে যাবে যাত্রীবাহী ট্রেনও।

সর্বশেষ খবর