সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

পিঁয়াজ বীজে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

পিঁয়াজ বীজে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

‘কালো সোনা’ খ্যাত পিঁয়াজ বীজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। গত কয়েক বছর ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবারও পিঁয়াজ বীজ চাষে ঝুঁকেছেন তারা। কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর জেলায় ২৩ কোটি টাকার পিঁয়াজ বীজ উৎপাদন হবে আশা তাদের। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল গ্রামে মাঠের পর মাঠে দেখা মিলছে সাদা রঙের ফুলে ছেঁয়ে যাওয়া পিঁয়াজ বীজের খেত। এসব খেত করে শুধু কৃষকরাই লাভবান হননি, কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় যুবকদেরও। চাষিরা বলছেন, পরাগায়ন না হলে পিঁয়াজ ফুলে পরিপক্বতা আসে না। পরাগায়ন হয়ে থাকে মূলত মৌমাছির মাধ্যমে। কীটনাশক ব্যবহারের কারণে বীজের খেতে মৌমাছির আনাগোনা কম। ফলে ঝাড়ু ও হাত দিয়ে কৃত্রিম পরাগায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা। পিঁয়াজ বীজ চাষি চাড়োল গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর তিনি প্রায় তিন বিঘা জমিতে পিঁয়াজ বীজ চাষ করেছেন। তার জমিকে উৎপাদিত বীজ সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন জেলায়। ফলন ভালো হওয়ায় এবার প্রায় ৪ লাখ টাকা মুনাফার আশা করছেন তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ও আবহাওয়া পিঁয়াজ বীজ উৎপাদন উপযোগী হওয়ায় এ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জেলার কৃষকরাও। জানা যায়, জেলার বিভিন্ন পিঁয়াজ বীজ খেতে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন স্থানীয় যুবকরা। এ অর্থ দিয়ে পরিবারকে সহায়তা করেন তারা। কারও কারও মিটছে নিজের পড়ালেখার খরচ। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আলমগীর কবির বলেন, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১১২ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজ বীজ আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় এক হেক্টর কম। প্রতি হেক্টরে ৯০০ কেজি বীজ উৎপাদন হবে আশা করা যাচ্ছে। যার বাজারমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ২৩ কোটি টাকা।

সর্বশেষ খবর