শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ভোগান্তির শেষ নেই ১৫ গ্রামের মানুষের

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর বেলতলা-শড়াতলা সড়কে জরাজীর্ণ সেতু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে বেলতলা-শড়াতলা সেতুর পাটাতন ভেঙে আছে ২৪ বছর ধরে। ২০১০ সালের দিকে সেতুটির পাটাতন ভেঙে যায়। ওই সময় ১০ ফুট পাটাতনের প্রায় সবটুকু ভেঙে পড়ে। স্থানীয়ভাবে বাঁশ-চাটাই দিয়ে ভেঙে পড়া সেতুর কিছু অংশে পাটাতন তৈরি করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। সেতুটির রেলিংও সিংহভাগ ভেঙে গেছে। যে কারণে সব সময় দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা থাকে। সেতুটি যেন মরণফাঁদ হয়ে আছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ওই ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে এখানকার ১৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ও ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  এলাকাবাসী জানান, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদহ ও ফলসি ইউনিয়নের বেলতলা-শড়াতলা গ্রামের মাঝামাঝি গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ খালের ওপর ওই ভাঙা সেতুতে এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। খালের সেতুর এক পাশে শড়াতলা অন্যপ্রান্তে ফলসি ইউনিয়ন। সেখানকার তিনটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ১৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ সড়কটি ব্যবহার করে। এ সড়কের বেলতলা ও শড়াতলা এলাকায় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিশু, বয়স্ক, অসুস্থ মানুষসহ শিক্ষার্থী এ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, বেলতলা-শড়াতলা প্রধান সড়কের মাঝামাঝি গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের আলমডাঙ্গা মেইন খালের ওপর ওই সেতুটি। এটি দীর্ঘদিন ভেঙে পড়ে থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর ওপর দিয়ে অসংখ্য পথচারী পার হচ্ছেন। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। কৃষকরা বিভিন্ন ফসল যানবাহনে করে নিয়ে যাচ্ছেন। যানবাহন কয়েকজন মিলে ধরে সেতুর ভাঙা স্থান পার করতে হচ্ছে। মোটরসাইকেলের চালকরাও একইভাবে সেতু পার হচ্ছেন। সেতুর পাশে বসে কথা হয় শড়াতলা গ্রামের খাতের মন্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, জোড়াদহ বাজার থেকে একটি সড়ক শড়াতলার মধ্যে দিয়ে চলে গেছে। খালের অন্যপ্রান্তে ফলসি ইউনিয়ন। তিনটি ইউনিয়নের জোড়াদহ, হরিশপুর, পাখিমারা, শড়াতলা, কুলবাড়িয়া, রঘুনাথপুর, কালাপাহাড়িয়া, মান্দিয়াসহ কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষ সড়কটি ব্যবহার করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া জানান, এটা আমার নিজ গ্রামের ব্রিজ। অসংখ্যবার পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে ধর্না দিয়েছি। তারা বারবার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার হয়নি।

ঝিনাইদহ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ সেতুসহ আরও কয়েকটি সেতু মেরামত করা প্রয়োজন। তাদের রিহ্যাবিলিটেশনের একটি প্রজেক্টে সব ব্রিজের তালিকা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প পাস হলে সব ভাঙা সেতু পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর