শিরোনাম
শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
পাকেনি ধান

শঙ্কায় বোরো চাষিরা

কাটার মতো হয়নি ইরি-বোরো। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

আবদুল বারী, নীলফামারী

শঙ্কায় বোরো চাষিরা

নীলফামারীতে এখনো পাকেনি বোরো ধান। জেলার কোথাও খেতে ধানের থোড় এসেছে, কোথাও কলা পাকার মতো হয়েছে আবার কোথাও রয়েছে আধাপাকা। কাটার মতো হয়নি ইরি-বোরো। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে জেলার কৃষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। শেষ সময়ে এসে কষ্টের ফসল হারানোর শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। জানা যায়, এবার প্রচণ্ড দাবদাহ ও খরার কারণে বোরো মাঠে পর্যাপ্ত সেচ দিতে পারেনি নীলফামারীর কৃষকরা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক কষ্টে খেত বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন তারা। তার পরও অনেক জায়গায় ধান খেত পুড়ে গেছে। এ অবস্থায় ইরি-বোরোতে চলতি মৌসুমে চিটা হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। টানা খরার কবলে ইরি-বোরো আবাদে সেচ খরচও বেড়েছে চাষিদের। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কৃষক নুর কাদের বলেন, এ বছরের মতো খরা কখনো দেখেননি তিনি। প্রতিদিনই ইরি-বোরো জমিতে সেচ দিতে হয়েছে। তার পরও পানি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। রেশনিং পদ্ধতিতে সেচমালিকরা পানি দিয়েও কুলাতে পারেননি। এ বছর ফলন কম হবে বলেছেন তিনি। সদর উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামের কৃষক নজিবুল ইসলাম বলেন, এবার টানা খরায় সেচ ও কীটনাশক দিয়েও খুব একটা কাজ হয়নি। ফসলের অবস্থা খুবই খারাপ। ইরি-বোরো ধান এখন আধাপাকা আছে। ধান ১০-১৫ দিনের মধ্যে কাটার উপযোগী হবে। এর মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হলে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নীলফামারী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, ধানের ফুল আসার জন্য সর্বোচ্চ সহনীয় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জেলায় সম্প্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৪০-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ অবস্থায় ঝড়-বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়বে চাষিদের জন্য। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় ৮১ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এবার একদিকে ছিল তীব্র দাবদাহ, অন্যদিকে বৃষ্টি পায়নি ইরি-বোরো খেতে। তাপ পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হচ্ছে আগামীতেও প্রকৃতি এমন বৈরী আচরণ করবে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণা জরুরি বলে মনে করছেন ওই কৃষি কর্মকর্তা। প্রচণ্ড তাপের কারণে কৃষকের ফসল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য তাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর