ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক স্থানে তিনটি ট্রেন বিকল হয়েছে। এগুলো হলো- চট্টলা, কর্ণফুলী ও উপকূল এক্সপ্রেস।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। একাধিক লাইন থাকায় ওই সময়ে ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জসিম উদ্দিন এ তথ্য জানান। এ সময় যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। পরে মেরামত শেষে ট্রেনগুলো গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস কসবায় পৌঁছালে গ-বগির সংযোগ স্থলের নিচের দিকে হঠাৎ আগুন ধরে। এ সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটি কসবা স্টেশন এলাকায় থেমে যায়। বিকল হওয়া বগি বিচ্ছিন্ন করে সেটি কসবা স্টেশনে রেখে দুই ঘণ্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে। বিলম্বের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। -ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিচট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে আটকা পড়ে ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর দুপুর ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হোস পাইপের (হাওয়া চলাচলের) সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ঢাকা থেকে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন আউটারে বিকল হয়। ট্রেনটি এক ঘণ্টা বিলম্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ত্যাগ করে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, উপকূল এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যাত্রাবিরতি শেষে ছেড়ে যায়। অদূরে শহরের কলেজ রেলগেট এলাকায় হোস পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ঘণ্টাব্যাপী মেরামত কাজ শেষে ট্রেনটি পুনরায় নোয়াখালীর উদ্দেশে ছাড়ে।