ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিরোধ মীমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। শুক্রবার কেরানীগঞ্জ উপজেলার বন্দ ডাকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়েছে। আসামিরা হলেন- শামীম (২৫), মো. আলী বিশ্বাস ও নাদিম (২২)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী পেশায় রিকশাচালক। দেড় মাস আগে ভুক্তভোগী নারীর বোন ও বোন জামাই তাদের বাসায় আসে। এরপর তার স্বামী বোনজামাইয়ের জন্য মামলার ১ নম্বর আসামি শামিমের কাছ থেকে ভাড়ায় রিকশা নিয়ে দেয় চালানোর জন্য। কিছুদিন পর বোনজামাই গ্রামের বাড়ি চলে যায়। রিকশা মালিক শামিম ভুক্তভোগীর স্বামীকে জানায়, বোনজামাই রিকশার সামনের চাকা নষ্ট করে ফেলেছে এবং এ জন্য ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে। শুক্রবার সকালে মামলার ৩ নম্বর আসামি নাদিম ৫০০ টাকার বিষয়টি মীমাংসার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে গ্যারেজে যেতে বলে। ওই নারীর স্বামী বাসায় না থাকায় যেতে অপারগতা জানান। তখন নাদিম গালাগালি করে। এরপর ওই নারী নাদিমকে বলে তার খালাকে নিয়ে শামীমের গ্যারেজে যাবে। খালার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিকশা ভাড়া করে। যাওয়ার পথে রিকশা বন্দ ডাকপাড়া ছালেহা বেগমের ৬ তলা বাসার সামনে গেলে রিকশা থেকে নামিয়ে নাদিম ভুক্তভোগী নারীকে ২ নম্বর আসামি আলী বিশ্বাসের ভাড়া বাসায় জোরপূর্বক নিয়ে যায়। সেই রুমে আলী এবং শামীম আগে থেকেই অবস্থান করছিল। শামীম ভুক্তভোগী নারীকে জোরপূর্বক বাথরুমে নিয়ে তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরে রুমের ভিতর নিয়ে আলী বিশ্বাস ধর্ষণ করে।
