বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

চিকিৎসক সংকট মেশিন অচল

♦ কাক্সিক্ষত সেবা মিলছে না ঠাকুরগাঁও বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ♦ রোগী ও স্বজনদেও চরম ভোগান্তি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

চিকিৎসক সংকট মেশিন অচল

চিকিৎসকসহ নানা সংকটে ঠাকুরগাঁও বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে কাক্সিক্ষত সেবা মিলছে না। এখানে জিন এক্সপার্ট মেশিন থাকলেও কোনো ধরনের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। এক্সরে মেশিন ১৫ বছর ধরে অচল। এসব কারণে রোগী ও স্বজনদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৬৪ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের সত্যপীর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ৩.৩৯ একর জায়গায় স্থাপন করা হয় বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। টিউবারকুলোসিস বা টিবি রোগে আক্রান্তরা ছাড়াও জ্বর, সর্দি, ব্যথাজনিত রোগীরা এখানে সেবা নিতে আসেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ ক্লিনিকে ১৮ জন টিবি রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বক্ষব্যাধিসহ বিভিন্ন ধরনের সাধারণ রোগের চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ২৬১ জন রোগী। সরেজমিনে দেখা যায়, ক্লিনিকের প্রবেশপথে নেই কোনো তদারকি বা দায়িত্বশীল ব্যক্তি। যে যার মতো ভিতরে প্রবেশ করছেন। এ ক্লিনিকে কফ ও টিবি পরীক্ষার করার জন্য জিন এক্সপার্ট মেশিন থাকলেও নেই কোনো প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা। মেশিন অচল হওয়ায় এক্সরে করতে হয় দূরের কোনো প্রতিষ্ঠানে। এতে রোগী ভোগান্তির পাশাপাশি ব্যয় করতে হয় বাড়তি খরচ। এই ক্লিনিকের অনেক জমি বেদখলে রয়েছে।

বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের দেওয়া তথ্যমতে, ক্লিনিকে ২১ পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৪টি। চিকিৎসাসেবা প্রদানে একজন বক্ষব্যাধি কনসালট্যান্ট ও একজন মেডিকেল অফিসার থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন একজন সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

চিকিৎসা নিতে আসা আমেনা বেগম বলেন, সরকারি জায়গায় আসা হয় কম টাকায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। এখানে কফ পরীক্ষা করে আবার বুকের এক্সরে আলাদা জায়গায় করতে যেতে হয়। গরিব মানুষ, এত বেশি টাকা তো আমাদের নেই। এখানে পুরো সেবাটা দেওয়া হলে আমাদের জন্য ভালো হয়। বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা শুভেন্দু কুমার বলেন, এ ক্লিনিকে প্রধানত যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। বক্ষব্যাধি রোগী ছাড়াও এখানে অনেক সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। রোগ শনাক্ত করার জন্য এক্সরে মেশিনের প্রয়োজন হয়। তবে মেশিনটি প্রায় ১৫ বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। এ কারণে রোগীদের বাইরে গিয়ে এক্সরে করাতে হয়। নৈশপ্রহরী না থাকায় সব সময় অরক্ষিত হয়ে থাকে। আমরা কয়েক দফায় সমস্যাগুলো ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। মেডিকেল অফিসার ডা ইফতেখায়রুল সজীব জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আপাতত জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এখানে সেবা প্রদান করছেন। ক্লিনিকে নৈশপ্রহরীর কোনো পদ না থাকায় লোকবল দেওয়া হয়নি। আমরা নতুন এক্সরে মেশিন নেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যে এটির সমাধান হবে। ২৯ শতক জমি বেদখলে রয়েছে। সেটি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর