শনিবার, ১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়

♦ আবর্জনা রাস্তায়ও ♦ ক্ষুব্ধ পথচারী চালক এলাকাবাসী

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়

মাদারীপুরে মহাসড়কের পাশে এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। যা সড়কের ওপরেও চলে আসছে। এ মহাসড়কের মাদারীপুর অংশে তিনটি স্থানে এমনটা করা হচ্ছে। এসব স্থান পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে উৎকট গন্ধ। এতে হচ্ছে পরিবেশ দূষিত । ওই এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। এলাকাবাসী, পথচারী, বিভিন্ন যানবাহনের চালক এবং যাত্রীরা এতে অতিষ্ঠ ও ক্ষুব্ধ। জেলা প্রশাসন বলছে, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পৌরসভাকে ৫ একর জমি দেওয়া হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যেই মিলবে এ সমস্যার সমাধান। সরেজমিন দেখা যায়, ২৪ ফুট চওড়া ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কিছু জায়গা ময়লা-আবর্জনার দখলে। এখানে সাধারণ মানুষকে নাক-মুখে হাত চেপে নিঃশ্বাস বন্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে। দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের বসতবাড়িতে। শুধু মাদারীপুরই নয়, রাজৈর ও কালকিনি পৌরসভার ময়লাও ফেলা হয় এ মহাসড়কের পাশে। স্থানীয়রা জানায়, মাদারীপুর পৌরসভার আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে মস্তফাপুর ইউনিয়নের ঢাকা-বরিশাল ব্যস্ততম সড়কের পাশে। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৩৫ টন বর্জ্য হয়। বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ফেলার জন্য পৌরসভার নিজস্ব কোনো জমি নেই। এখানে ভাগাড় বা ডাম্পিং স্টেশন করা সম্ভব হয়নি। তাই কয়েক বছর আগে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়মোহের এলাকায় পৌর মেয়র খালিদ হোসেনের জমিতে ময়লা ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। দেশের অন্যতম ব্যস্ত সড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে এই এক লেন সড়ক দিয়ে। এ সড়কের মাদারীপুরের ৪৮ কিলোমিটার অংশে কমপক্ষে তিনটি স্থানে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে পানি ও বাতাস দূষিত হয়ে উঠছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারী, যাত্রী ও চালক। মহাসড়ক থেকে ময়লা-আবর্জনা সরাতে বার বার তাগিদ দিলেও কোনো সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মস্তফাপুরের বাসিন্দা মিঠু দরজি বলেন, দুর্গন্ধ অসহনীয়। এ কারণে এখান দিয়ে চলাই দায়। নাক-মুখ চেপে চলাচল করতে হয়। পৌর মেয়রের কাছে আমাদের দাবি, ময়লার ভাগাড়টি এখান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হোক। হযরত আলী নামে আরেকজন বলেন, লোকালয়ে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে আমরা বহু অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ বলেন, মহাসড়কে ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে পথচারীদের বিভিন্ন রোগ হতে পারে। খোলা স্থানে বর্জ্য ফেলার ফলে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এলাকায় মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে পৌরসভাকে ৫ একর জমি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।

সর্বশেষ খবর