শিরোনাম
শনিবার, ১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

জয়পুরহাটে ভুট্টা খেত -বাংলাদেশ প্রতিদিন

জয়পুরহাটে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। বাজারে চাহিদা, ভালো দাম, অন্য ফসলের চেয়ে রোগবালাই ও উৎপাদন খরচ অনেক কম হওয়ায় এ ফসল আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সদর উপজেলার জামালপুর, তেঘর; আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ, রুকিন্দীপুর, জিয়াপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পোলট্রি, মৎস্য ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন পাওয়া যায় ৩৫ থেকে ৪০ মণ পর্যন্ত। সেই হিসাবে ১ হাজার টাকা প্রতি মণ বিক্রি হলে কৃষকদের অনেক লাভ থাকে। এ ছাড়া জ্বালানি হিসেবে ভুট্টা গাছ ও ছোবড়া বিক্রি করে অতিরিক্ত আয় হয় কৃষকদের। অধিক লাভে কৃষকরা বিপুল পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। পূর্ব রুকিন্দীপুর গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন বলেন, ভুট্টা অনেক লাভজনক একটি ফসল। আমি এবার ১০ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ মণ পর্যন্ত ফলন আসে। মনোয়ার হোসেন নামে এক কৃষক বলেন, ধান-আলুর চেয়ে ভুট্টায় লাভ বেশি। এক বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। গত বছর এক বিঘাতে ১ হাজার টাকা মণ হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো বিক্রি করেছিলাম। দাদরা গ্রামের সুলতান মাহমুদ বলেন, এ জেলায় পোলট্রি খামারে ভুট্টার চাহিদা রয়েছে অনেক। ভুট্টা বিক্রির পাশাপাশি জ্বালানি হিসেবে গাছ ও ছোবড়া বিক্রি করে বাড়তি টাকা পাওয়া যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মুজিবুর রহমান জানান, জেলায় এবার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। বেকারি, পোলট্রিশিল্প ও ফিশফিড হিসেবে দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য এ জেলায় এ ফষল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক জাতের ও উচ্চ ফলনশীল ভুট্টা চাষ সম্প্রসারণে চেষ্টা চলছে। কৃষকদের প্রদর্শনী ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আগামীতে এর চাষ আরও বাড়বে।

 

সর্বশেষ খবর