বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

চুরির অপবাদে নির্যাতন সিগারেটের ছ্যাঁকা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

জেলার চৌদ্দগ্রামের ভাজনকরা গ্রামে রবিবার রাতে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে আলমগীর (১৫) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পেটানোর পাশাপাশি শরীরে দেওয়া হয়েছে দিয়াশলাইয়ের আগুন ও জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা। এ ঘটনায় গতকাল চৌদ্দগ্রাম থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- রাহুল, রবিন, বাপ্পি, হৃদয়, দিদার, আলম ও সানাউল্লাহ।

স্থানীয়রা জানান, ছেঁড়া পোশাকে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় আলমগীর। মানুষের দেওয়া খাবারে ক্ষুধা নিবারণ করে। মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী এ কিশোরকে স্থানীয় যুবক রাহুল, রবিন, বাপ্পি, হৃদয়, দিদার, আলম ও সানাউল্লাহর নেতৃত্বে দফায় দফায় নির্যাতন করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ভাজনকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। তারা হাতের কাছে যে যা পেয়েছে তা দিয়েই চালিয়েছে নির্যাতন। লাঠি, লোহার রড, বেত্রাঘাত, কিল-ঘুসি ও লাথি মেরেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা। তার সমস্ত শরীরে দেওয়া হয়েছে দিয়াশলাইয়ের আগুন ও জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা। এতে তার পিঠসহ শরীরের প্রায় প্রতিটি জায়গায় তৈরি হয়েছে ক্ষত। নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই কিশোরের নানা আবদুল কুদ্দুস। তিনি চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগে আবদুল কুদ্দুস উল্লেখ করেন, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দফায় দফায় নির্যাতনের পর আলমগীরকে বেওয়ারিশ দেখিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে গোপনে ভর্তি করিয়ে চলে যায় তারা। সোমবার ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।

অভিযুক্ত রাহুল জানায়, ‘ওর বিরুদ্ধে এলাকার অনেককেই চুরির অভিযোগের কথা বলতে শোনা গেছে। তাকে ধরে এলাকার সবাই স্বীকারোক্তি নেওয়ার জন্য মারধর করেছে। আমি না শুধু, এ ঘটনায় এলাকার অনেকেই ছিল।’

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

সর্বশেষ খবর