মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভিন্নধর্মী পশুখাদ্যে ঝুঁকছেন চাষি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ভিন্নধর্মী পশুখাদ্যে ঝুঁকছেন চাষি

গরু মোটাতাজাকরণে খরচ কমাতে খামারিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভিন্নধর্মী খাদ্য। সাধারণত খামারিরা গরুকে সবুজ ঘাস, খড়, ভুসিসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন অনেকে। সবুজ ঘাস ও খড়ের পাশাপাশি তারা ভুট্টা গাছের ৪-৫ ফুট ওপরের অংশ কেটে মেশিনে কুচি কুচি করে রোদে শুকিয়ে গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে গরু যেমন মোটাতাজা হচ্ছে তেমনি কমছে খরচও। বীরগঞ্জ উপজেলা মোহনপুর ইউনিয়নের খামারি রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, আমার সাতটি গরু আছে। প্রতিদিন সবুজ ঘাস, ভুসিসহ অন্য খাবারে অনেক খরচ। তাই খরচ কমাতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করি। তা হলো ভুট্টা গাছের ওপরের অংশ কেটে ছোট ছোট করে খাদ্য তৈরি। প্রথমে অল্প কেটে গরুকে খাওয়ানোর পর দেখি ভালোই খাচ্ছে। তখন আমার জমিতে লাগানো দুই বিঘার ভুট্টা গাছের ওপরে অংশ মেশিন দিয়ে কেটে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করি। এতে গো-খাদ্যের খরচ অনেকটা কমেছে। একই চিত্র দেখা যায় আশরাফুল ইসলামের খামারেও। তিনি গরুর পাশাপাশি ছয়টি মহিষ পালন করছেন। এ বছর প্রায় তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন আশরাফুল। তার এলাকার অনেকেই ভুট্টা গাছের ওপরের অংশ গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে এটা তার জানা ছিল না। অন্যদের দেখার পর তিনিও ভুট্টা গাছ থেকে গরুর খাবার তৈরি করেন। এতে সবুজ ঘাস ও অন্যান্য খাদ্যের ওপর চাপ কমায় খুশি তিনি। বীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওসমান গনি বলেন, ভুট্টা গাছের ওপরের অংশও পুষ্টিকর গো-খাদ্য। ভুট্টা গাছের ফেলে দেওয়া ওপরের অংশ গরু-মহিষকে খাওয়ালে খামারির খাদ্য খরচও কমে যাবে। ফলে সবুজ ঘাস ও অন্যান্য খাদ্যের ওপর চাপ কমবে। লাভবান হবেন খামারিরা।

সর্বশেষ খবর