সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চরবর্নিয়ায় জমি দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সায়েম এবং আখের গ্রুপের মধ্যে গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষে একে একে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় একজন এবং বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- চরবর্নিয়া দক্ষিণপাড়া খোদাবক্স মোল্লার ছেলে কৃষক সানোয়ার হোসেন (৩৫), একই এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে কিশোর তামিম হোসেন গালিব (১৫) ও আখের গ্রুপের চরবর্নিয়া উত্তরপাড়ার মৃত রাজ্জাক সেখের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৪০)। স্থানীয়রা জানান, চরবর্নিয়া দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দাদের জমির ওপর দিয়ে নদীতীর রক্ষার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধের দুই পাশে চরবর্নিয়া উত্তরপাড়ার আখের সেখ, হামিদ মোল্লা, মতিন মোল্লা ও আবদুল প্রামাণিক দোকানপাট নির্মাণ করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে চরবর্নিয়া উত্তরপাড়ার আখের সেখ ও দক্ষিণপাড়ার সায়েমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার ভোরে আখের গ্রুপের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে দক্ষিণপাড়ায় হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশকিছু বসতবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে সায়েম গ্রুপের ২০/২৫ জন আহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে সায়েম গ্রুপের সানোয়ার মোল্লা মারা যান। এ ছাড়া আখের গ্রুপের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের পাবনা ও বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে সায়েম গ্রুপের কিশোর তামিম হোসেন গালিব মারা যায়। একই দিন বিকালে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আখের গ্রুপের ফরহাদ হোসেন মারা যান। শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, সংঘর্ষে আহত ফরহাদ হোসেন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিল। বুধবার বিকালে তিনি মারা যান। দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সায়েম গ্রুপের দুজন এবং আখের গ্রুপের একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান, কৃষক ফরহাদ ও কিশোর গালিব নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে কৃষক সানোয়ার হোসেন নিহতের ঘটনায় তার মা আনতিরি বেগম বাদী হয়ে ১২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকে অভিযান চলছে।
