শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভিন্ন ভিন্ন রঙের বিদেশি আম

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

ভিন্ন ভিন্ন রঙের বিদেশি আম

শ্রীমঙ্গলে ধরেছে বিদেশি জাতের আম। ফলনও হচ্ছে ভালো। যেমন আকার তেমনই রং; খেতেও সুমিষ্ট। আর এসব বিদেশি আম বিত্রিু করে মিলেছে অধিক লাভ। শখের বসে করা এ আমবাগান এখন সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। গাছে গাছে ঝুলছে চায়নার কিংআফ চাকাপাত, থাইল্যান্ডের চেয়াংমাই, ব্যানানা ম্যাংগো, নামডকমাই, আলফানসো আম, কিউজার, থ্রী টেস্ট ও ইন্দোনেশিয়ার ব্রুনাইকিং জাতের আম। এ আম বাগানটির দেখা মেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার উত্তর-উত্তরসুর গ্রামে। শহরের লন্ডন প্রবাসী কাজী আয়শা মনি শখের বসে বাগানটি গড়ে তুলেন। যা এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। তিন বছর আগে ২ একর জমির ওপর কাজী অ্যান্ড আজাদ এগ্রো ফার্ম নামে একটি ফলের বাগান গড়ে তোলেন তিনি। বর্তমানে বাগানে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৫ একর হয়েছে। বিদেশি আম ছাড়াও রয়েছে দেশি জাতের গৌরমতি, বরি ১১, বারি ৪, ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙ্গা ও আমরুপালি আম। সরেজমিন দেখা যায়, তিন থেকে আট ফুট লম্বা একেকটি আম গাছ। গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা পাকা আম। আমের ভারে নুয়ে আছে ডাল। কোনো গাছে ঝুলছে গোলাকৃতির আম। কোনোটিতে লম্বা আকৃতির। আর কোনোটি একেবারে গোলাকার। বিভিন্ন জাতের আমে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রং। চায়নার কিংআফ চাকাপাত আমের রং লাল। কলার মতো লম্বা সবুজ রঙের ব্যানানা ম্যাংগো। হলুদ বর্ণের ল্যাংড়া। বাগানের নেই কোনো সার বা কীটনাশকের ব্যবহার। সম্পূর্র্ণ অরগানিক পদ্ধতিতে এখানে আম চাষ করা হচ্ছে। শখের এ বাগান এখন সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। স্বপ্ন দেখাচ্ছে অথনৈতিক সমৃদ্ধির। বাগানের ম্যানেজার মো. রাফিউল ইসলাম রাফি জানান, ‘এ বাগানে ৪০ প্রজাতির প্রায় ২ হাজার আম গাছ রয়েছে। সব গাছে আম ধরেছে। গত মে মাস থেকে আম পাড়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫০ কেজি ব্যানানা ম্যাঙ্গো বিক্রি করা হয়েছে। এতে আয় হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। আগামী মাস পর্যন্ত আম বিক্রি করা যাবে। বাগানে সব গাছ মিলিয়ে প্রায় ২ টন আম হবে। কিছু লেইট ভেরাইটি জাতের আম আছে, যেগুলো আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে পাকা শুরু হবে। আবার কিছু গাছে নতুন করে মুকুল আসা শুরু করেছে। কাজী আয়শা মনি বলেন, ‘আমের ফলন দেখে আমি খুব খুশি। বিদেশে কষ্টার্জিত টাকা দেশে বিনিয়োগ করে এই বাগান করেছি।

আমার শখের বাগানটি আজ বাণিজ্যিক হয়ে গেছে। এ বাগানে উৎপাদিত আম একদিন বিদেশে রপ্তানি করার স্বপ্ন দেখছি। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। তিনি আরও বলেন, আমার মতো অন্য প্রবাসীরাও দেশে বিনিয়োগ করলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।’

 

সর্বশেষ খবর