সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাঁচ গ্রামে জলাবদ্ধতা

পারিবারিক বিরোধে নিষ্কাশনের পথ বন্ধ, পানিবন্দি ৪ হাজার মানুষ

শামীম কাদির, জয়পুরহাট

পাঁচ গ্রামে জলাবদ্ধতা

বর্ষার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ করে দেওয়ায় সাত দিন ধরে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের ৫ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে গ্রামগুলোর সব পথঘাট ডুবে আছে। বর্ষার পানির সঙ্গে বাড়ির ড্রেনের পানি মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গ্রামবাসীর অভিযোগ পারিবারিক বিরোধের জেরে বর্ষার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধ করে দিয়েছেন শাহ আলম মন্ডল ওরফে আলম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। এরপর থেকে তারা চলাচলে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও সুফল মেলেনি।

অভিযুক্ত শাহ আলম বলেন, ‘আমার জায়গা দিয়ে আমি পানি যেতে দেব না। লেখালেখি করে কোনো লাভ হবে না’। জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের গতিপথের প্রবাহ বন্ধ করার অধিকার কারও নেই। শিগগিরই বাঁধ উচ্ছেদ করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩৩ ধারায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দিলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরেজমিনে বম্বু ইউনিয়নের ধারকী আকন্দপাড়া, বড়াইল পাড়া, ফকির পাড়া, মন্ডল পাড়া ও প্রধান পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ইট বিছানো সংযোগ সড়কগুলো ডুবে আছে। খড়ের পালা, বাড়িঘরের আঙিনা এবং সীমানাপ্রাচীরের নিচ পর্যন্ত ছুঁইছুঁই করছে পানি। বড়াইল পাড়া জামে মসজিদে যাওয়ার রাস্তা হাঁটুপানির নিচে। নর্দমার পানির সঙ্গে বর্ষার পানি মিশে নোংরা হয়ে পড়েছে। নোংরা পানি মাড়িয়ে গ্রামের মানুষ যাতায়াত করছে। বাড়ির আঙিনায় পানি ওঠায় অনেকে রান্না করতে পারছেন না। পানিবন্দি আকন্দপাড়া গ্রামের মোজাহার আকন্দ বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে দেখে আসছি বর্ষা মৌসুমে পানি নির্দিষ্ট পথে ড্রেনের মাধ্যমে অপসারিত হয়। তিন বছর আগে এ গ্রামের শাহ আলম মন্ডল ওরফে আলম পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেন। সেই থেকে পরিবার নিয়ে সমস্যায় পড়েছি আমরা। প্রতিবাদ করতে গেলেই আলম মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখায়। ধারকী বড়াইল পাড়ার মাহমুদুল হোসেন বলেন, আমরা গ্রামের অধিকাংশ মানুষ শ্রমজীবী ও কৃষক। রাস্তাগুলো পানিবন্দি থাকায় কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারছি না। অটোরিকশা ও ভ্যান ঢুকতে পারছে না গ্রামে। আমরা খুব কষ্টে আছি।

সর্বশেষ খবর