বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা

বেড়েছে জ্বর কাশির রোগী

♦ খানসামা হাসপাতালের মেঝেতে রোগী ♦ সেবা দিতে হিমশিম চিকিৎসকদের

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বেড়েছে জ্বর কাশির রোগী

বিরূপ আবহাওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে দিনাজপুরে বেড়েছে জ্বর, গলাব্যথা কাশি ও সর্দি রোগীর সংখ্যা। তবে এ সংখ্যা বেশি খানসামায়। এ উপজেলায় বাড়ি বাড়ি জ্বরের রোগী। ওই উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা সংকটে মেঝেতে রোগী রেখে চিকিৎসাসেবা দিতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স-মিডওয়াইফসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিরূপ আবহাওয়ায় শুধু মানুষই নয়, নাভিশ্বাস উঠছে পুরো প্রাণ-প্রকৃতির। আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া, সুতি কাপড় পড়া এবং বেশি বেশি পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছে।

গতকাল সরেজমিন খানসামার পাকেরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, জরুরি বিভাগ ও আউটডোরে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড ভর্তিরোগী দিয়ে পূর্ণ। বারান্দা, মেঝেতেও রোগী।

খানসামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৮ জন। এর মধ্যে জ্বর-কাশির রোগী ৬০ জন। ঈদের দিন থেকে এক সপ্তাহে ৩০০ জন জ্বরের রোগীসহ ৫০০ জনের অধিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন জরুরি বিভাগ ও ইনডোরে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন প্রায় ৩০০ রোগী। এর অধিকাংশই জ্বর, সর্দি, কাশি, ব্যথা ও ডায়রিয়া রোগী।

জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত গোয়ালডিহি গ্রামের লাবিব (৫) নামে শিশু রোগীকে হাসপাতালের বারান্দায় রেখে চিকিৎসা চলছে। তার অভিভাবক হালিমা খাতুন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে ছেলের জ্বর-সর্দি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও কমেনি। তাই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন গুলিয়ারা গ্রামের মিনতি রায় (৪০)। তিনি বলেন, হঠাৎ জ্বর ও শরীর ব্যথা নিয়ে এলে তাকে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়। বেড ফাঁকা না থাকায় মেঝেতে থাকতে হচ্ছে।

পাকেরহাট এএফআর মেডিসিন মার্টের স্বত্বাধিকারী বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটি ও গত সপ্তাহ থেকে জ্বরের রোগী বেড়েছে। বাজারে কিছু কোম্পানির প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ সংকট আছে। তবে তা দু-এক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে বলে কোম্পানির বরাত দিয়ে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল জানান, ভাইরাস এবং আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে জ্বর ও কাশির রোগী বেড়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কেউ এমন রোগে আক্রান্ত হলে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ না করে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান। জনবল ও বরাদ্দ সংকটের বিষয়ে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতেছি।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর