শিরোনাম
শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

অবৈধ করাতকলে উজাড় পাহাড়ি বন

আলপনা বেগম, নেত্রকোনা

অবৈধ করাতকলে উজাড় পাহাড়ি বন

জেলার পাহাড়ি অঞ্চলসহ সর্বত্র লাইসেন্সবিহীন করাত কলের (স’মিল) ছড়াছড়ি। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে ওঠা অবৈধ এসব করাত কলে উজাড় হচ্ছে পাহাড়ি বন। চলছে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন। দিনে রাতে কাটা হচ্ছে গাছ। প্রশাসনের নাকের ডগায় উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। বন্যপ্রাণি হারাচ্ছে আশ্রয়স্থল। কঠোর আইন থাকলেও সরকারের কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না করাতকলগুলো। বন বিভাগের তথ্য মতে, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলার আনাচে কানাচে ৩২৯টি করাতকল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে আবেদিত ১৬৪টি। আবেদনবিহীন ১০৫টি। এ ছাড়া ৬০টির লাইসেন্স থাকলেও নবায়ন করা হয়েছে ২৮টির। আবেদিত ১৬৪টির মধ্যে চলতি বছরে যাচাই বাছাই শেষে ৭৭টি টিকিছে। তার মধ্যে মাত্র দুটির পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র রয়েছে। এ দুটিকে গত দুই জুলাই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি দুই উপজেলা কলমাকান্দায় ৩৮টির মধ্যে ৩টির লাইসেন্স আছে। দুর্গাপুরে ৪০টির মধ্যে ৯টির লাইসেন্স রয়েছে। বন ঘেরা এ দুটি উপজেলায় এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে প্রতিনিয়ত বনের কাঠ কেটে সাবার করছে। ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয়। কলমাকান্দা ইউএনও আসাদুজ্জামান বলেন, সীমান্তে বেশ কিছু অবৈধ করাতকল রয়েছে। বিশেষ করে লেঙ্গুরাসহ একেবারে সীমান্তে। এদের বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। জেলার পরিবেশ অধিদফতরে সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, যে সব অবৈধ করাতকল বনভূমি ধ্বংস করছে, জীববৈচিত্র্য নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। সহকারী বন সংরক্ষক এ এফ জি মোস্তফা জানান, আইন উল্লেখ করে নোটিস করা হয়েছে। শাস্তি দেওয়ার জন্য মোবাইল কোর্ট করতে হয়। এ ছাড়াও বন বিভাগে জনবল সংকট রয়েছে। প্রতি বিটে ফরেস্টার এবং গার্ড নেই। লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় অনেক সময় সবগুলো দেখা যাচ্ছে না। বনের গাছ কাটার বিষয়ে তিনি জানেন না বলে জানান।

সর্বশেষ খবর