শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

আড়িয়াল খাঁয় বিলীন বাড়ি জমি

মাদারীপুর প্রতিনিধি

আড়িয়াল খাঁয় বিলীন বাড়ি জমি

মাদারীপুরের কালকিনিতে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে অন্তত ১০টি বসতবাড়ি ও ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আরও অন্তত ২৫টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীপাড়ের অর্ধশতাধিক কৃষক পরিবার। অনেকেই ভিটেমাটি হারিয়ে অন্য এলাকায় বাধ্য হয়ে আশ্রয় নিয়েছে। আরও অনেকে রয়েছে ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্কে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, উপজেলার সিডিখান এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন শুরু হয়েছে। এ এলাকার ফয়জর আলী, হুমায়ন, নুরু, দিদারসহ ১০টি বসতবাড়ি ইতোমধ্যেই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে মহব্বত হোসেন, রায়হান ও নজু হোসেনসহ ১০টি পরিবার। আতঙ্কিত পরিবারগুলো গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে পার্শ্ববর্তী কয়ারিয়া এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। নদী ভাঙনে বসতভিটা হারানো অনেকেই পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে জীবনযাপন করছেন। এ এলাকার ১ কিলেমিটার জুড়ে নদী ভাঙনে গাছপালা, ধান, পাটসহ বিভিন্ন ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। উপজেলার সাহেবরামপুর এলাকার অন্তত ১৫টি পরিবার রয়েছে আড়িয়াল খাঁ নদ ভাঙন আতঙ্কে। ওই এলাকার অনেক কৃষকের রোপণ করা ধানের জমি বিলীন হয়েছে।

সিডিখান এলাকার ভাঙনকবলিত তাহেরসহ বেশ কয়েকজন জানান, রাক্ষসী আড়িয়াল খাঁ নদ আমাদের সবকিছুই কেড়ে নিয়ে গেছে। আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলি জমি এক রাতের মধ্যে নিয়ে গেছে। নিমিষেই আমাদের সব স্বপ্ন বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

সাহেবরামপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মান্নান ও রানাসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এই বর্ষাকাল আসলেই আমাদের চিন্তা বেড়ে যায়। বছরের পর বছর আমাদের জমি আড়িয়াল খাঁ নদে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেখার মতো আমাদের কেউ নেই। আমাদের মতো শত শত পরিবার পথের ফকির হয়ে নদী ভাঙনের কারণে এলাকা ছেড়েছে। সিডিখান ইউপি চেয়ারম্যান চানমিয়া শিকদার জানান, নদী ভাঙনের বিষয় আমরা প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি। সাহেবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মুরাদ সরদার জানান, আড়িয়াল খাঁ নদে বছরের পর বছর ভাঙছে। আমরা অনেকবার ভাঙনকবলিতের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের সহযোগিতা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম জুমার দাশ জানান, সরকারিভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সর্বশেষ খবর