বান্দরবান-থানচি সড়কের নীলগিরিতে গত বুধবার রাতে ভারী বর্ষণে পাহাড়ধস হয়। বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পাহাড় ধসের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনীর ১৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (ইসিবি) টিম এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মাটি সরানোর কাজ শুরু করেন। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় বান্দরবান সদর থেকে থানচির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী বাসসহ স্থানীয় লোকজন আটকে পড়ে। এদিকে তিন দিনের টানা বর্ষণে বান্দরবানের লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গর্জনিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি-রামু সড়ক এবং আলীকদম-লামা-ফাঁসিয়াখালী সড়ক তলিয়ে গেছে। পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় লামা উপজেলায় ১৮২ দশমিক ৫ এবং বান্দরবানে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, ভারী বর্ষণে ভূমিধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন উপজেলার পানিবন্দি লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে।