শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্বল্প খরচে চিকিৎসার জন্য ভরসাস্থল গাক হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

গরিব মানুষের চোখের চিকিৎসার ভরসাস্থল হয়ে সেবা দিয়ে চলেছে গাক চক্ষু হাসপাতাল। মাত্র ১০০ টাকায় নাম নিবন্ধন করে চোখের সঠিক রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া হয় এখানে। তাই, স্বল্প টাকায় চোখের চিকিৎসা নিতে দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা প্রতিনিয়ত আসছেন এ হাসপাতালে। অত্যাধুনিক ফ্যাকো অপারেশনসহ চোখের ছানি ও অন্যান্য অপারেশনের মাধ্যমে দেশজুড়ে সুনাম অর্জন করেছে গাক চক্ষু হাসপাতাল।

গ্রাম উন্নয়ন কর্ম (গাক) ৩০ বছর ধরে দরিদ্র ও অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ঋণ কার্যক্রমসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, স্যানিটেশন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদি কাজে নিবেদিত। দেশের জনগণের স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে চক্ষুরোগ অন্যতম। সাধারণ জনগোষ্ঠীর অন্ধত্ব নিবারণে চক্ষু রোগের চিকিৎসার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বগুড়ায় চালু করা হয় গাক চক্ষু হাসপাতাল। ২০২১ সালে দিনাজপুর ও ২০২২ সালে ঢাকায় চক্ষু হাসপাতাল স্থাপন করা হয়।

গাক চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজার সাখাওয়াত হোসেন জানান, রোগীর আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে চোখের ছানির ফ্যাকো অপারেশন এবং (এসআইসিএস)-এর মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে এমনকি অতিদরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করা হয়। টাকার অভাবে কোনো রোগীকে বিনাচিকিৎসায় এ হাসপাতাল থেকে ফেরত দেওয়া হয় না। গাক চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর গ্রামের ৮০ বছরের মনোয়ারা বেগম জানান, তিনি তার চোখের ছানি অপারেশন করিয়েছেন। ১০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার পর চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছানি অপরাশেন করার পরামর্শ দেন। তার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যানের সুপারিশ নিয়ে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করান। তিনি বলেন, এখন চোখের স্বচ্ছ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়ে অন্যের ওপর নির্ভর না করে একাই চলা ফেরা করতে পারছেন।

গাকের উপ-পরিচালক আরমান হোসেন জানান, গাক চক্ষু হাসপাতাল প্রতি মাসে চক্ষু চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করা হয় এবং বিনা মূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের ক্যাম্প আয়োজন করে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

গাকের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার আলমগীর হোসেন জানান, সঠিক সময়ে চোখের চিকিৎসা না করা এবং সচেতনতার অভাবে যারা ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে যাচ্ছেন তাদের অসচ্ছলতা অনুধাবন করে স্বল্প/বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য এ চক্ষু হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর