জলাবদ্ধতার কারণে নাটোরের গুরুদাসপুরে বামনকোলা ও গারিষাপাড়া মাঠে প্রায় ২ হাজার বিঘা জমি চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে ৫ শতাধিক কৃষককে। তিন ফসলি ওই সব জমিতে ১৫ বছর ধরে দুটি ফসল উৎপাদন করতে পারছে না কৃষক। বছরে একটি ফসল ইরি, আমন চাষ করলেও থাকতে হয় অনিশ্চয়তায়। কয়েকদিন বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় ধান। ফসলের মাঠ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসন ও ফসল রক্ষার দাবিতে সম্প্রতি বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন শত শত এলাকাবাসী। জানা যায়, উপজেলার বামনকোলা ও গারিষাপাড়া ফসলের মাঠটিতে প্রায় ২ হাজার বিঘা জমি রয়েছে। এসব জমিতে কৃষকরা তিন ফসল উৎপাদন করতেন। অপরিকল্পিত পুকুর খনন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখেই আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণ করার কারণে সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে ৫ শতাধিক কৃষককে। মাঠের মাঝ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি পাকা সড়ক। সেখানে ২০ বছর আগে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৫ বছর আগে কালভার্টটি ভেঙে ফেলে বাড়ি নির্মাণ করা হয়। সেই থেকেই গারিষাপাড়া ও বামনকোলা মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। বামনকোলা গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন জানান, ‘বামনকোলা মাঠে তার পাঁচ বিঘা জমি রয়েছে। তার বাবা সেই জমিতে এক সময় তিন ফসল উৎপাদন করতেন। এখন তিনি এক ফসল চাষ করতেই অনিশ্চয়তায় থাকেন। জমি চাষাবাদ করেই তার জীবিকা নির্বাহ করেন। এ বছর বর্ষা ও টানা বৃষ্টিতে ধানের জমি প্রায় ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। আরও বৃষ্টি হলে ধান ডুবে যাবে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। অতি দ্রুত প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি।’ কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ বলেন, ‘ইতিপূর্বেও ওই মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তর উদ্যোগ নিয়েছিল। গ্রামবাসীর অভ্যন্তরীণ ঝামেলার কারণে বেশি দূর অগ্রসর হওয়া যায়নি। গ্রামবাসীর সহযোগিতা পেলে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।’ ইউএনও সালমা আক্তার বলেন, ‘কৃষকদের সহযোগিতায় অতি দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরশন করা হবে।’