স্বামীকে ফিরে পেতে শ্বশুর বাড়িতে আমরণ অনশন করছেন উম্মে খাদিজা জামান (মনিকা)। সাভার থেকে বান্দরবানের লামা পৌর সদরের চাম্পাতলীস্থ বাড়িতে আজ থেকে অনশনে বসেন তিনি। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন লামা উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের ছেলে মিশু দাসকে। মিশু দাস ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক নিকাহ রেজিষ্টার সম্পাদন করে মনিকাকে গত ১৪ মে ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে বিবাহ করেন। বিবাহ সক্রান্ত বিষয়ে নোটারী পাবলিক মূলে হলফনামা সম্পাদন করা হয়।
ঢাকা সাভারের পিতা মো. রফিকুজ্জামান সালাম মাতা রৌশন আরা বেগমের আদরের কন্যা উম্মে খাদিজা জামান মনিকা। লামা উপজেলার সাবেক কৃষি কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের ছেলে মিশু দাস। পরিবারের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে মিশুর সাথে খাদিজার পরিচয় হয়। এরপর ভাব বিনিময় একপর্যায়ে মিশু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে মনিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে উভয়ের সম্মতিতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ হয়। কিন্তু মিশুর পরিবার বিবাহ মেনে নিতে পারেনি। তারা চট্টগ্রাম জোরারগঞ্জ-এ বাসা ভাড়া করে থাকত। মিশুর পরিবার শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র।
গত ৯ অক্টোবর কাজের কথা বলে বাসা থেকে বের হয় মিশু। সে থেকে আর ফিরেনি। মনিকা ১০ অক্টোবর চট্টগ্রাম জোরারগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরই মধ্যে মিশুর মোবাইল থেকে মনিকার ছোট ভাইয়ের মোবাইলে একটি ম্যাসেজ যায়; তাতে লেখা রয়েছে ‘তোমরা তোমাদের বোনকে নিয়ে যাও আমিও চলে গেলাম’। ষড়যন্ত্রের আভাস বুঝতে পেরে মনিকা ছুটে আসেন লামায়। শশুড় বাড়িতে খোঁজ নিলে তারা মনিকাকে পাত্তা দিচ্ছে না। মিশুর পরিবারের দাবি, তারা ছেলেকে ত্যাগ করেছেন। মনিকার দাবি শশুর বাড়ির লোকজন মিশুকে তার কাছ থেকে সরিয়ে নিয়েছে। স্বামীকে না নিয়ে সে লামা থেকে ফিরে যাবে না। তাই শ্বশুর বাড়ির বারান্দায় আজ সকাল থেকে শুরু করেছে আমরণ অনশন। অবশ্যই স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফরিদ উদ্দিন বিচারের আশ্বাস দিলে বিকেলে মনিকা অনশন ভাঙ্গেন।