১৪ অক্টোবর, ২০১৭ ২০:৪৪

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ৬৭ গরু জব্দ

বান্দরবান প্রতিনিধি:

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ৬৭ গরু জব্দ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার থেকে আনার পথে ৬৭টি গরু জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ৩১ ব্যটালিয়ান। আজ বিকেলে এসব গরু জব্দ করে বিজিবি জোন সদরে আনা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গরুগুলো মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপি (নাটালা) বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। শুক্রবার রাতে এসব গরু ফুলতলী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালুবাসা গ্রামের চারজন কৃষকের কাছে জমা রাখা হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী চারজন চোরাকারবারী কৌশলে সীমান্ত অতিক্রম করে গরুগুলো নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামুর বিভিন্ন গ্রামে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে এ কাজে ওই চার ব্যাক্তি প্রকাশ্যে না এলেও চারজন কৃষককে ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে আজ বিকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবির সদস্যরা অভিযান চালান। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গরুর মালিকদাবীকারীরা দৌঁড়ে পালায়। পরে বালুবাসা গ্রাম থেকে ৬৭টি গরু ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় উচ্ছৃঙ্খল জনতা প্রতিরোধে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা বিজিবিকে সহযোগিতা করেন।  

পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কচ্ছপিয়া ইউপির সাবেক সদস্য জসিম উদ্দিন ও নাইক্ষ্যংছড়ির ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমদের নেতেৃত্বে আটককৃত গরুগুলো মিয়ানমার থেকে আনা হয়েছিল।

ইতিপূর্বেও সরকারকে কর ফাকি দিয়ে তাদের বিরেুদ্ধে শত শত গরু পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।  
গরু আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল আনোয়ারুল আযীম বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে গরুগুলো আনা হয়েছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জব্দ করা হয়েছে। কেউ সঠিক তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্যথায় সুপারিশকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে কচ্ছপিয়ার সাবেক ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনকে খোঁজা হচ্ছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর