নাটোরের বড়াইগ্রামে সংঘর্ষে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিক সরকার (২২) নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। ১৫ দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ রবিবার তিনি মারা যান। আশিক চান্দাই গ্রামের মিরন সরকারের ছেলে ও চান্দাই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চান্দাই গ্রামে একটি সরকারি খাস পুকুর ইজারা নিয়ে পারকোল গ্রামের মৎস্যচাষী মসলেম উদ্দিন ও চান্দাই গ্রামের সাহেব আলীসহ কয়েকজন মাছ চাষ করেন। গত ১৪ জুন রাতে চান্দাই গ্রামের মিরন সরকার লোকজন নিয়ে ওই পুকুরের মাছ শিকার করেন। পরদিন শনিবার এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সন্ধ্যায় মিরনের লোকজন কয়েকটি মোটরসাইকেলে গিয়ে চান্দাই গ্রামের করিম খাঁর মোড়ে সাহেব আলীর ছেলে সাকিবকে তুলে আনার চেষ্টা করে। এসময় সাকিবের স্বজনরা এগিয়ে এলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এতে আশিক সরকারসহ উভয় পক্ষের আটজন আহত হন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিক মারা গেলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শরীফ আল রাজীব বলেন, সংঘর্ষ ও ছেলে আহত হওয়ার ঘটনায় ১৬ জুন বড়াইগ্রাম থানায় হত্যাচেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেন ছাত্রলীগ নেতা আশিকের বাবা মীরন সরকার। প্রতিপক্ষরাও একটি মামলা করে। হত্যাচেষ্টার মামলায় প্রতিপক্ষ সাহেব আলী (৫৪), ইয়াহিয়া (৪৫), জাহিদুল প্রামাণিক (৪৫), নায়েব প্রামাণিক (৫৬), শাকিব হোসেন (২২), সুইট হোসেন (২৩), কামরুল ইসলাম (৪০), আবদুস সোবাহান (৫৯), আবদুস সোহরাব (৬০), দুলাল হোসেনসহ (৪২) অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সেসময় তাৎক্ষণিক ৬ জনকে গ্রেফতারও করা হয়। এ মামলায় জাহিদুল ইসলাম কারাগারে থাকলেও অন্যরা জামিনে মুক্ত রয়েছেন বলে জেনেছি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ