৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:৩১

তিস্তার পানি কমলেও ভোগান্তির শেষ নেই

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তার পানি কমলেও ভোগান্তির শেষ নেই

বন্যার পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন এক ব্যক্তি

কয়েকদিন ধরে উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। এতে জেলার ৫ উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও তিস্তার চরাঞ্চল এলাকাগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে চলাচলের রাস্তাঘাট ও গবাদিপশু নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তিস্তা রেলসেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। তবে পানি কমে যাওয়ায় এসব এলাকার বাড়িঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা গোবর্ধন চরবাসীরা জানান, রবিবার বিকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সন্ধ্যার মধ্যেই তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। আর মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, দু-দিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে দ্রুত গতিতে পানি নেমে যাওয়ায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন বলেন, দু-দিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফউদ্দৌলা বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর