৬ জুলাই, ২০২৪ ২০:১৭

জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের যমুনা,  ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি নতুন করে না বাড়লেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনিবার বিকাল পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিস্তৃর্ণ এলাকায় পানি ছড়িয়ে পড়ায় নতুন নতুন এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে তলিয়ে গেছে বসতভিটা, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি।

টানা বর্ষণ আর উজানের ঢলে জামালপুরের যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিস্তৃর্ণ জনপদে বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় ইতিমধ্যে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ২৩ ইউনিয়নের অন্তত ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিস্তৃর্ণ এলাকায় প্রতিনিয়ত বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় তলিয়ে গেছে বসতভিটা, রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও মাছের ঘের।  এছাড়াও ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে বন্যার পানির তোড়ে কালভার্ট এবং রাস্তা ভেঙে গেছে। অপরদিকে দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। 

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ও কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের ৩০ মিটার অংশ বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ায় এখনো বন্ধ রয়েছে ওই এলাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের গোদাগাড়ি এলাকায় সড়ক বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বন্যার পানির কারণে জেলার ১০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৩১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বসতঘরে পানি উঠে পড়ায় ইতোমধ্যেই পানিবন্দি পরিবারগুলো গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও উচু সড়ক বাঁধ এবং স্টেশনের প্লাটফর্মে আশ্রয় নিয়েছে। 

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার্তদের জন্য ৩শ’ মেট্টিক টন চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর