৬ জুলাই, ২০২৪ ২১:৩১

নাটোরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নাটোরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে হামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ সাতজনকে আহত করার ঘটনায় নাটোর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর স্ত্রী মোছা. সুলতানা পারভীন বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে নাটোর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় শহরের চকবৈদনাথ এলাকার আজম আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম কোয়েল (৩২) ও কানন (২৯), রুবেলের ছেলে হৃদয় (৩৪), বড়গাছা এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে গোলাম কিবরিয়া সেলিম, মল্লিকহাটির বুনন কসাইয়ের ছেলে সজিব (৩৩), বউ বাজারের আজাদের ছেলে রানা (৩৭), মজনু মিয়ার ছেলে জনি (৩৩), সৌমেন (৩৫), মীরপাড়ার প্রিন্স, আলাইপুর বাটার গলির ইদ্রিস আলীর ছেলে মোহন (৩৫), হাফরাস্তা নোয়াখালি পাড়ার শফি মেম্বারের ছেলে সবুজ (৩৫), ভাটোপাড়ার আফজাল কসাইয়ের ছেলে সুমন মৃধা (৩৫), নলডাঙ্গা উপজেলার সোনাপাতিল গ্রামের মাহতাব কমিশনার রাসু (৩৩), শিহাব (২৩), স্বপনসহ (২৫) অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বুধবার নাটোরে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে সভাপতিত্ব করার জন্য তার স্বামী শহিদুল ইসলাম বাচ্চু সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে দলীয়কর্মী মশনুর ফেরদৌস হিটলুর মোটরসাইকেলে দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন। নাটোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের আক্রমণ করে। এ সময় তারা হত্যার উদ্দেশ্যে শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার ডান হাত ও দুই পায়ের গোড়ালির কাছে উপর্যুপরি কুপিয়ে রগ কেটে দেয়।

এক পর্যায়ে গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। কিছু সময় পর বিএনপির সমাবেশে গিয়ে পুনরায় হামলা করে এবং বেজ বল লাঠি দিয়ে প্রধান অতিথি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে আঘাত করে। এতে বুলবুলের হাত ভেঙে যায়। এ সময় আরও সাতজন আহত হয়। ঘটনার পর অভিযুক্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি করতে করতে এলাকা থেকে চলে যায়।

আহতদের মধ্যে সাব্বির আহম্মেদ চপলের মাথায় ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। স্থানীয়রা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাৎক্ষণিক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বিকেলে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর