শিরোনাম
২১ আগস্ট, ২০২৪ ২০:৪৮

সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়নের ডিডির প্রমোদখানা থেকে মদের বোতল উদ্ধার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়নের ডিডির প্রমোদখানা থেকে মদের বোতল উদ্ধার

সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়নে অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা এবং ভিআইপি গেস্ট রুম দখল করে উপ-পরিচালক গড়েছেন 'প্রমোদখানা'- এমন খবরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে উদ্ধার করেছেন বিদেশি মদের বোতল, দামি গাড়ি কেনার রশিদসহ নানা সামাগ্রী। 

বুধবার দুপুরের পর কয়েকশ শিক্ষার্থী শহরের নবীনগর এলাকায় অবস্থিত যুব উন্নয়ন অফিসে গিয়ে প্রশিক্ষক ও কর্মচারিদের নিয়ে তল্লাশি চালান। শিক্ষার্থীদের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যান অফিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো. শাহনূর আলম। 

এদিকে, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা সামগ্রী জব্দ করে পুলিশ। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপ-পরিচালক শাহনূর আলম ২০১৭ সাল থেকে জেলা যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক (ডিডি) পদে দায়িত্ব পালন করছেন মো. শাহনূর আলম। ওই সময়ে অফিসের কিছু অসাধু প্রশিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন দুর্নীতির একটি চক্র। ভর্তি ফি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, খাবার সরবরাহ- সকল ক্ষেত্রেই মোটা অংকের উৎকোচ নেয় এই চক্রটি। ডিডির পক্ষে আবুল নামের এক কর্মচারি উৎকোচের টাকা তুলতেন ডিডির হয়ে। 

তারা আরও অভিযোগ করেন, তিনটি কক্ষ নিয়ে করা অফিসের ভিআইপি গেস্ট রুমটি দখল করে থাকতেন ডিডি। সেখানে মাদক সেবনসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন তিনি। নিজে ‘জয় বাংলার লোক’ এমন প্রভাব দেখিয়ে কাউকে টুশব্দ করতে দিতেন না।  

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ বারী জানান, যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষার্থীরা আমাদের জানান অফিস প্রধানের নির্দেশে তাদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। আমার ডিডির সাথে এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বুধবার দুপরে আমাদের আসতে বলেন। কিন্তু আমাদের আসার আগেই মোবাইল ফোন অফ করে তিনি পালিয়ে যান। পরে প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে আমরা ডিডির আবাসিক রুম তল্লাশি করে মদের বোতলসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত জিনিসপত্র পাই। 

তিনি আরো বলেন, আমরা আসার পর ডিসি চক্রের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা বলেন শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকরা। 

সুনামগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিচালক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের ফোন পেয়ে যুব উন্নয়নে গেলে ডিডির কক্ষে মদের বোতল, মোটা অংক দিয়ে গাড়ি কেনার রশিদ ইত্যাদি জব্দ করি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর