ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। আখাউড়া উপজেলায় বন্যার পানি বাড়ি-ঘর ও সড়ক থেকে পুরোপুরি নেমে গেছে। কসবাতেও পরিস্থিতির আরো অনেক উন্নতি হয়ে পানি নামা শেষের পথে।
তবে বন্যার পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ যেন বাড়ছে। পানিতে ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় অনেকেই এখনো অন্যের বাড়িতে থাকছেন। কিছু মাটির ঘর পানিতে নরম হয়ে যাওয়ায় ভয়ে অনেকে উঠছেন না। অনেকের আসবাবপত্র ভেসে যাওয়ায় এ নিয়েও সমস্যায় আছেন। বীজতলা ও চারার ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষক। পুকুর থেকে মাছ ভেসে যাওয়ায় লোকসান নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারীরা।
বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার উপজেলারবীর চন্দ্রপুর গ্রামের সুবর্ণা আক্তারের স্বামী মো. পারভেজ মিয়াকে ২০ হাজার টাকার সরকারি সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি ওই টাকার চেক তুলে দেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।এদিকে একাধিক স্থানে সড়ক ও সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে দুই উপজেলাতেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় ছেদ পড়েছে। আখাউড়ার গাজীর বাজার এলাকায় সেতু ভাঙার কারণে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, লোকজন নির্মাণাধীন সেতুতে দেওয়া পাটাতনের উপর দিয়ে পার হচ্ছেন। তবে যানবাহন পার করা সম্ভব হচ্ছেনা। নয়াদলি ও দেবগ্রাম এলাকার সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। কসবার বায়েক এলাকাতে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় কুমিল্লার সঙ্গে ওই এলাকার সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি জানান, একেবারেই ঘর নেই এমন পাঁচটি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া সুবর্ণার স্বামীকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সড়ক ও সেতু ভাঙার বিষয়ে সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদেরকে অবগত করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই তারা এসব মেরামত করবেন বলে আশা করি। উপজেলার কোথাও এখন বিদ্যুতের কোনো সমস্যা নেই বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএম