ঈদুল আজহা ও শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে যারা স্বজনদের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন তাদের রাজধানীতে ফেরার পালা শুরু হয়েছে। ঈদ ও পূজা একসঙ্গে হাজির হওয়ায় এবার রেকর্ড সংখ্যক লোক ঢাকা ছেড়েছেন। উৎসব পালন শেষে যারা ঢাকায় ফিরছেন তাদের এবার বাড়তি চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে। এবার শুধু যানবাহনের টিকিট পাওয়া কিংবা যানজটের সমস্যা নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচির চাপও ঘরে ফেরা মানুষের জন্য বাড়তি উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে কর্মস্থল ছাড়া শুরু হয় ঈদের ১০-১২ দিন আগ থেকে। ঈদ পালনের পর দুই সপ্তাহ ধরে চলে কর্মস্থলে ফেরার পালা। চাকরিজীবীরা ছুটি শেষে ফেরার চেষ্টা করলেও ব্যবসায়ী ও অন্য পেশাজীবীদের ঈদ অবকাশ কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়। অনেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসেন পরিবারের অন্য সদস্যদের গ্রামের বাড়িতে রেখে। তারা ফেরেন আলাদাভাবে দু-চার দিন কিংবা সপ্তাহখানেক পরে। কিন্তু আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তা নিয়ে সংশয় থাকায় কর্মস্থলে ফেরার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথাও ভাবতে হচ্ছে। এ বছর সরকার ঈদ পরিবহন ব্যবস্থায় কিছুটা হলেও মুনশিয়ানা দেখিয়েছে। যানবাহনে বাড়তি যাত্রীর ভিড় থাকলেও গত দুই-তিন বছরের তুলনায় ভোগান্তি তুলনামূলক বিচারে কম হয়েছে। সবারই আশা তাদের কর্মস্থলে ফেরার পালাটা নির্বিঘ্ন হোক। পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে জনমনে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে তা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হোক। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে পারিবারিক বন্ধন বেশ শক্তিশালী। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ বা শারদীয় দুর্গোৎসব পালনের রেওয়াজ চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ রেওয়াজ মানুষের সংবেদনশীলতার অংশ হয়েও দাঁড়িয়েছে। ফলে ঈদ ও পূজা উপলক্ষে যারা কর্মস্থল ছেড়ে স্বজনদের মাঝে গিয়েছিলেন, তারা যাতে নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন এ ব্যাপারে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল তথা সরকার ও বিরোধী দলকে দায়িত্বশীল হতে হবে। অক্টোবর মাসটি যাতে রাজনৈতিক হানাহানির বাইরে থাকে সে ব্যাপারে নজর দিতে হবে।