শিরোনাম
শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

গার্মেন্টে অশান্তি

গার্মেন্ট শিল্পে আবারও অশান্তি দানা বেঁধে উঠছে। সরকার ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গ্রেডিং বৈষম্যের অভিযোগে অশান্ত হয়ে উঠছে ৪০ লাখ শ্রমিক-সংবলিত দেশের অর্থনীতির এই প্রধান খাত। রাজনৈতিক আন্দোলন এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক বিতর্ক নিয়ে সরকারসহ সারা জাতি যখন ব্যস্ত তখন গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিকদের ন্যায্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করতে কলাকৌশলের আশ্রয় নেওয়ায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কোরিয়ান ইপিজেডে পুলিশের সঙ্গে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সংঘর্ষে এক শ্রমিক নিহত ও অন্ততপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। ইপিজেডের কোরীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার নতুন মজুরি কাঠামোর অধীনে বেতন দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় কয়েকজন শ্রমিক অভিযোগ করেন, তাদের বিভিন্ন ভাতা ও সুবিধা কমানো হয়েছে। এ নিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাদের আগমনে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারা ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে পুলিশকে লক্ষ্য করে। পুলিশ এর মোকাবিলায় রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ছুড়লে এক শ্রমিক নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন। অভিযোগ পাওয়া গেছে, মালিকপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক আবারও জটিল হয়ে উঠছে। শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন, খাদ্য ও বাড়িভাড়া জটিলতায় তাদের ঠকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রেডিং বৈষম্যে তাদের বেতন বাড়ার বদলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে হ্রাস পেয়েছে। কি কারণে গার্মেন্ট শিল্পে অসন্তোষ হঠাৎ করে দানা বেঁধে উঠছে তা দ্রুত খতিয়ে দেখা দরকার। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে গ্রেডিং বৈষম্যের মাধ্যমে তাদের ঠকানোর যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্যি হলে সেটি হবে দুর্ভাগ্যজনক। দেশে যখন ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট চলছে তখন গার্মেন্ট শিল্পে সংকট দানা বেঁধে উঠলে তার পরিণাম মালিক-শ্রমিক কারোর জন্যই সুখকর হবে না। জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে এ বিষয়ে উভয়পক্ষ সুবুদ্ধি ও সুবিবেচনার পরিচয় দেবেন এমনটিই কাঙ্ক্ষিত।

সর্বশেষ খবর