হে দীনি মুসলমান ভাইয়েরা, ইসলামী আদব তথা রীতিনীতিগুলো অবলম্বন করুন। আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ তোমরা ইসলামী রীতি অবলম্বন করে নিজেরা দোজখের আগুন থেকে বাঁচ এবং তোমাদের আহল ও আয়ালকেও তা থেকে বাঁচাও। হাদিসে আছে, প্রত্যেক সন্তান ফিতরত তথা ইসলামী আদর্শ গ্রহণের যোগ্যতা লাভ করে ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু তার পিতামাতা তাকে ইহুদি বা খ্রিস্টান বা অগি্নপূজক বানিয়ে নেয়। রাসূল পাক (সা.) আরও বলেন, হে দুনিয়ার মানুষ, তোমরা ইসলামী স্বভাব গ্রহণ কর যার ওপর রেখে আল্লাহপাক মানুষকে সৃষ্টি করেন। আল্লাহপাকের সৃষ্টিগত এ ইসলামী স্বভাবকে তোমরা পরিবর্তন কর না। প্রকৃতপক্ষে এটাই মজবুত ও সুদৃঢ় জীবন ব্যবস্থা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল পাক (সা.) বলেন, আল্লাহপাক আমাকে আদব শিক্ষা দিয়েছেন এবং আমাকে উত্তম আদব শিক্ষা দিয়েছেন আর তিনিই আমাকে জ্ঞান দান করেছেন এবং উত্তম জ্ঞান দান করেছেন। হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, আমি দশ বছর নবী করীম (সা.)-এর খেতমত করেছি। তিনি আমাকে কখনো উহ্ শব্দটুকু বলেননি এবং এ কথাও বলেননি যে, তুমি কেন করলে? বা তুমি কেন করলে না। হজরত আবু সাঈদ (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) পর্দানসিন কুমারী মেয়েদের চেয়েও লাজুক ছিলেন। যখন তিনি কোনো কাজ অপছন্দ করতেন, তখন তার চেহারায় আমরা উহার পরিচয় পেতাম। (বুখারি ও মুসলিম শরিফ) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যখন নামাজ কায়েমের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা দৌড়াতে দৌড়াতে নামাজের দিকে এসো না, বরং ওই সময় তোমরা সেদিকে শান্তভাবে ধীরগতিতে চলে আসবে। অতঃপর নামাজের যতটুকু পাও আদায় করবে। আর যার ফৌত করবে পুরা করে নেবে। (বুখারি ও মুসলিম) হজরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত, প্রত্যেক কাজে ও কর্মে ডান দিক থেকে সম্পন্ন করা হজরত রাসূলে পাক (সা.)-এর খুব পছন্দনীয় ছিল। যেমন- পাক পবিত্রতা, মাথা অাঁচড়ানো ও জুতা পরিধান ইত্যাদি। (বুখারি ও মুসলিম) হজরত আয়শা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেন, যখন তোমাদের কেহ খানা খায় তখন সে যেন আল্লাহপাকের নাম উচ্চারণ করে, যদি কেহ প্রথমে ভুলে যায় তখন খানার মধ্যে যখনই স্মরণ হয় সে যেন বলে আমি আল্লাহর নাম খানার প্রথম ও শেষে উচ্চারণ করলাম। (আবু দাউদ শরিফ) আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে ইসলামী আদবসমূহ অবলম্বনের তৌফিক দিন। (আমিন)

খতিব : বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ