রবিবার, ২২ জুন, ২০১৪ ০০:০০ টা
ইতিহাস

দ্বিতীয় পারস্য অভিযান

১৩৯২ খ্রিস্টাব্দে তৈমুর লঙ্গ রাজনৈতিক অবস্থার অবনতির সংবাদ পেয়ে দ্বিতীয়বার পারস্যে অভিযান করেন। আষ্ট্রাবাদ ও আমুলের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়ে তিনি পারস্যে প্রবেশ করেন। পথিমধ্যে তিনি ইসমাইলীদের একটি ক্ষুদ্র ঘাঁটি ধ্বংস করেন। খুররমাবাদ শুসতার এবং কালা-সফেদ দখল করে তৈমুর সম্মুখে অগ্রসর হলেন। মুজাফফরী বংশের সর্বশেষ সুলতান শাহ মনসুর তৈমুরের সামরিক অভিযানে বাধা প্রদান করেন। তিনি চার হাজার সুসজ্জিত অশ্বারোহী লইয়া তৈমুরের ৩০,০০০ সৈন্যের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ করেন। কিন্তু শাহ মনসুর তৈমুরের পুত্র শাহরুখ কর্তৃক নিহত হন এবং এর ফলে পারস্যে মুজাফফরী বংশ লোপ পায়। তৈমুরের বিজয় নিনাদে পশ্চিম দেশীয় রাজ্যগুলো প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। পারস্য বিজয়ের সঙ্গে সঙ্গে তৈমুরের ইরাক, সিরিয়া ও তুরস্কে অভিযান ছিল অবধারিত। এ কারণে সিরিয়া, দামেস্ক ও জেরুজালেমের শাসকবর্গ মিসর ও বাগদাদের সুলতানদের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এমনকি তৈমুর কর্তৃক পশ্চিমদিকে বিতাড়িত তুর্কমান অধিপতি কারা ইউসুফও এই মিত্রতায় যোগদান করেন। তখন বাগদাদে রাজত্ব করছিলেন জালাইরী বংশের শেষ সুলতান আহমদ (১৩৮২-১৪১০ খ্রি.)। তিনি ছিলেন সন্দিঙ্মনা এবং নিষ্ঠুর প্রকৃতির। তাতার বাহিনীর আক্রমণে তিনি বাগদাদ থেকে পলায়ন করে দামেস্কে ও পরে কায়রোতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তৈমুর ১৩৯৩ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদ জয় করেন। তৈমুর একজন শাসনকর্তা নিযুক্ত করিয়া সেখানকার ধনসম্পদ, শিল্পী ও কারিগরসহ রাজধানী সমরকন্দে প্রত্যাবর্তন করেন।

সর্বশেষ খবর