রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

একটি ভালো উদ্যোগ

রাজধানীর সঙ্গে পদ্মা সেতুর যোগাযোগ সহজতর এবং নতুন শহর ঝিলমিলসহ সংলগ্ন এলাকাকে মূল ঢাকার সঙ্গে যুক্ত করতে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে। রাজধানীর জনসংখ্যা যখন স্পুটনিক গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন যোগাযোগ সহজতর করার পাশাপাশি এ ফ্লাইওভারটি মাওয়া থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত এলাকাকে রাজধানীর বর্ধিত অংশ হিসেবে গড়ে তোলার পথ উন্মোচন করবে। রাজধানী সনি্নবেশিত এলাকায় নতুন নতুন একাধিক শহর সৃষ্টিতেও তা উৎসাহ জোগাবে। প্রকল্পটির প্রাথমিক প্রতিবেদন ও সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে খসড়া রুট চিহ্নিত করা হয়েছে রাজধানীর জিপিওসংলগ্ন জিরো পয়েন্ট থেকে গুলিস্তান হয়ে পুরান ঢাকার বাবুবাজারের বুড়িগঙ্গা সেতুর পাশ দিয়ে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে দিয়ে ঝিলমিল প্রকল্পের দ্বারপ্রান্ত। শীঘ্রই এর চূড়ান্ত নকশা তৈরির কাজ শুরু হবে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের যুক্ত করতে রাজউকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগও করা হচ্ছে। রাজউকের করা সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি সেল এ নিয়ে কাজ করছে। এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা, যা সরকারের নিজস্ব তহবিল এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে জোগান দেওয়া হবে। তবে বিদেশি কোনো বিনিয়োগকারী সংস্থা পেলে তাদেরও কাজে লাগাতে চায় সরকার। বর্তমান যুগ হলো যোগাযোগের যুগ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন জাতীয় উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। আশা করা হচ্ছে, এ প্রস্তাবিত ফ্লাইওভারটি নির্মিত হলে তা রাজধানীর সঙ্গে বুড়িগঙ্গার অপরপাড়ের যোগাযোগ সহজতর হয়ে উঠবে। কেরানীগঞ্জ, দোহার, নবাবগঞ্জ এলাকা থেকেও রাজধানীতে বসবাস করার সুবিধা ভোগের সুযোগ ঘটবে। প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ ভিত্তিতে নির্মাণের চিন্তাভাবনা চলছে এবং সন্দেহ নেই আজকের দুনিয়ায় বহু দেশে উন্নয়নের এ মডেল অনুসৃত হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে রাজউক তথা সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে যানবাহন চলাচলের টোল যাতে মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে।

সর্বশেষ খবর